বাঁকুড়া: স্ট্রং রুমের সিসি ক্যমেরা বদল করে ইভিএম বদলের চেষ্টা করছে রাজ্য পুলিশ। আর মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তাতে মদত দিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এমনই গুরুতর অভিযোগ তুলেছিলেন বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ। এই নিয়ে গত ২৭ মে সরব হতেও দেখা গিয়েছিল সৌমিত্রকে। অভিযোগের তদন্তে নেমে স্ট্রং রুমের নিরাপত্তার কোনও ফাঁক ফোঁকর বা গাফিলাতি খুঁজে পেল না জেলা পুলিশ ও প্রশাসন। তদন্ত শেষে সৌমিত্র খাঁর অভিযোগকে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক বলে দাবি করে আজ এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন বাঁকুড়ার জেলা শাসক।
@ECISVEEP @CEOWestBengal
Facts about the social media post of alleged complaint of breach of security at strong room of 37- Bishnupur PC on 27.05.2024 which is being circulated in various social media handles.RO visited the venue and inspected security arrangements including… pic.twitter.com/vmZ31xiLYL
— District Magistrate Bankura (@DMBankura) May 29, 2024
গত ২৫ মে বিষ্ণুপুর লোকসভায় ভোটগ্রহণ হয়। ২৬ মে দুপুরের মধ্যে বিভিন্ন কালেকশন সেন্টার থেকে ইভিএম সংগ্রহ করে এনে রাখা হয় বিষ্ণুপুর কে জি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের স্ট্রং রুমে। সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রার্থী ও প্রতিনিধিদের সামনে সেই স্ট্রং রুম সিলও করা হয়। স্ট্রং রুমের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একাধিক নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়। নিয়ম মেনে প্রথম বলয়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাইরের বলয়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ।
Some social media handles have posted unverified videos alleging EVM & CCTV manipulations at the strong room of 37-Bishnupur PC. The posts are factually incorrect & misleading. Strong room of Bishnupur PC is completely safe & secure as per the protocols of the Hon’ble ECI.
The…
— Bankura Police (@spbankura) May 29, 2024
২৭ মে দুপুরে আচমকাই কে জি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে হাজির হয়ে সৌমিত্র খাঁ দাবি করেন বিধি ভেঙে রাজ্য পুলিশ স্ট্রং রুমের দরজার সামনে গিয়েছে। নিজের সামাজিক মাধ্যম অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভ করে সৌমিত্র খাঁ দাবি করেন সিসি ক্যমেরা বদল করে রাজ্য পুলিশ ইভিএম বদলের চেষ্টা করছিল। এবং মোটা টাকার বিনিময়ে সেই কাজে মদত দিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
সৌমিত্র খাঁর এই লাইভ ভিডিয়ো মূহুর্তে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। স্ট্রং রুমে ছুটে যান ওই লোকসভার রিটার্নিং অফিসার সহ পুলিশ,প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা। শুরু হয় ঘটনার তদন্ত। তদন্ত শেষে আজ বাঁকুড়ার জেলা শাসক এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়ে দেন স্ট্রং নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র ও অটুট রয়েছে। স্ট্রং রুম নিরাপত্তা বিষয়ক অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই এবং তা বিভ্রান্তিমূলক।
এদিকে স্ট্রং রুমের নিরাপত্তা নিয়ে এখনো চাপানউতোর অব্যাহত রয়েছে শাসক বিরোধী দলের। একে অপরকে লক্ষ করে চলছে কটাক্ষ বর্ষণও। বিজেপির দাবি ইভিএম বদলের ছক ছিল। কিন্তু সৌমিত্র খাঁ সময়মতো স্ট্রং রুমে পৌঁছে যাওয়ায় তা করা যায়নি। এখন তাই প্রশাসন অন্য সাফাই দিচ্ছে। তৃণমূল অবশ্য সৌমিত্র খাঁ র অভিযোগ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডলের কথায়, হারার আতঙ্কে এমনই সারবত্তাহীন অভিযোগ এনেছিলেন বিজেপি প্রার্থী।