মুকুটমণিপুর: রাজ্যে এই প্রথম বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুর মেলায় অনুষ্ঠিত হল আদিবাসী ফ্যাশন শো। স্থানীয় তরুণ, তরুণীদের পাশাপাশি এই ফ্যাশন শোয়ে র্যাম্পে হেঁটে ঝড় তুললেন রাজ্যের খাদ্য সরবরাহ দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডিও। মূলত পর্যটকদের সামনে আদিবাসী সংস্কৃতি ও তাঁদের পোশাক-আশাক তুলে ধরার উদ্যেশ্যেই এই বিশেষ শো বলে দাবি মেলা কমিটির।
দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম প্রধান আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র মুকুটমণিপুর। এই মুকুটমণিপুরে পর্যটনের বিকাশের লক্ষ্যেই আজ থেকে ২৪ বছর আগে সরকারি উদ্যোগে শুরু হয়েছিল মুকুটমণিপুর মেলা। যে মেলার আরও একটি প্রধান লক্ষ্য ছিল স্থানীয় আদিবাসী সংস্কৃতিকে তুলে ধরা। সেই লক্ষ্যেই এবার প্রথম মুকুটমণিপুর মেলায় আদিবাসী ফ্যাশন শো এর আয়োজন করে মেলা কমিটি। মেলা কমিটির দাবি, বছরের বিভিন্ন সময়ে আদিবাসীদের নিজস্ব উৎসব রয়েছে। রয়েছে নানা সামাজিক অনুষ্ঠান। সেই উৎসব ও সামাজিক অনুষ্ঠানগুলির প্রত্যেকটিতে আদিবাসী পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে আলাদা আলাদা পোশাক পরার চল রয়েছে। সেই পোশাকগুলি পরার ধরনও আলাদা আলাদা। মূলত সেই পোশাকগুলির ধরন ও তা পরার ধরন তুলে ধরাই ছিল এই ফ্যাশন শো-এর উদ্দেশ্য।
রাজ্যে প্রথম আদিবাসী ফ্যাশন শো হওয়ায় তা ঘিরে পর্যটকদের যেমন ছিল বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস, তেমনই মেলা উদ্যোক্তাদের প্রস্তুতিও ছিল নজরকাড়া। মূলত খাতড়া আদিবাসী কলেজে পাঠরত এগারো জোড়া জুটি বাছাই করে গত সাত দিন ধরে তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণ শেষে গতকাল সন্ধ্যায় মুকুটমণিপুর মেলার আলো ঝলমলে মঞ্চে রীতিমত ঝড় তুললেন তাঁরা। মঞ্চের র্যাম্পে দেখা গেল খোদ রাজ্য সরকারের খাদ্য সরবরাহ দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডিকে। ফ্যাশন শোয়ের মাধ্যমে আদিবাসী সংস্কৃতিকে পর্যটকদের সামনে তুলে ধরতে পেরে খুশি মেলা কমিটির উদ্যোক্তারা।