বাঁকুড়া: গ্রাম পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠা পেতে নিজেদের অবস্থান বদল করল বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। নির্দল হিসাবে জয়ীদের ফের দলে টানল তৃণমূল নেতৃত্ব।
বাঁকুড়া এক নম্বর ব্লকের আঁধারথোল গ্রাম পঞ্চায়েতের। শনিবার দলের বিক্ষুব্ধ নির্দল পঞ্চায়েত সদস্য মনসুর হাবিবুল্লা খানের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন বাঁকুড়া জেলা সভাপতি দিব্যেন্দু সিংহ মহাপাত্র।
দলের ভোট ভাগাভাগি ঠেকাতে গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে তৃণমূল ঘোষণা করেছিল দলের বিক্ষুব্ধ কোনও নির্দল প্রার্থীর সঙ্গে আগামীদিনে কোনোরকম সম্পর্ক রাখবে না তৃণমূল। কোনও অবস্থাতেই তাঁদের দলে ফেরানো হবে না। খোদ তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এ কথা ঘোষণা করেন।
কিন্তু ঘোষিত সেই নীতি থেকে এবার সরে এল বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া এক নম্বর ব্লকের আঁধারথোল গ্রাম পঞ্চায়েতের ২০ টি আসনের মধ্যে ১০ টি আসন জেতে তৃণমূল। বিজেপি জয়লাভ করে ৬ টি আসনে। দুটি করে আসন পায় সিপিএম ও নির্দল। সর্বাধিক আসন লাভ করলেও ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে তাঁদের দরকার ১১ টি আসন।
এই পরিস্থিতিতে নির্দল সদস্য মনসুর হবিবুল্লা খান নামের জয়ী এক বিক্ষুব্ধ সদস্যকে শনিবার দলে যোগদান করায় তৃণমূল। জানা গিয়েছে, মনসুর গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে পর্যন্ত তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলীয় টিকিটের দাবিদারও ছিলেন তিনি। দল টিকিট না দেওয়ায় তিনি বিক্ষুব্ধ হয়ে নির্দল প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সেই কথা তিনি স্বীকারও করেছেন। তাহলে কি শুধুমাত্র আধারথোল গ্রাম পঞ্চায়েত দখলের জন্যই নিজেদের অবস্থান বদল করল তৃণমূল?
ঘাসফুলের সাফাই মনসুর তৃণমূলের টিকিটের দাবিদার ছিলেন না। তিনি নির্দল হিসাবেই ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। বিজেপি অবশ্য তৃণমূলের এই অবস্থান বদলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি।