বাঁকুড়া: একটার পর একটা চুরি। সেই কারণে কার্যত আতঙ্কিত ছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। সেই আতঙ্ক তো কমলই না উল্টে আরও বাড়ল যখন ঘটে গেল একই ঘটনা। ফের দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা সামনে এল খাতড়া বাজারে। মঙ্গলবার সাত সকালেই ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
সূত্রের খবর, বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে খাতড়ার চুয়াকানালী এলাকার এক শিক্ষকের বাড়িতে ডাকাতি হয়। তিনি খাতড়া আদিবাসী মহাবিদ্যালয়ে পড়ান। ওই শিক্ষকের দাবি, নগদ সহ বেশকিছু সোনা রূপার গয়না খোয়া গিয়েছে তাঁর। সব মিলিয়ে আনুমানিক প্রায় তিন লক্ষ টাকা চুরির হয়েছে বলে দাবি ওই শিক্ষক পরিবারের।
ওই পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, এক সামাজিক অনুষ্ঠান ছিল তাঁদের। সেই কারণে কিছুদিনের জন্য খাতড়ার বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন। এদিন তাঁরা বাড়িতে এসেই জানতে পারেন,বাড়িতে চুরি হয়েছে। ঘর খুলে দেখেন খবর পেয়ে খাতড়া থানার পুলিশ যায় ওই বাড়িতে। ওই পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে। চুরির ঘটনার বিষয় খাতড়া থানায় লিখিত আকারে জানানো হচ্ছে। এলাকায় ধারাবাহিক চুরির ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাসিন্দাদের অনেকেই। খাতড়া কলেজের শিক্ষক শ্যামসুন্দর দত্ত বলেন, “প্রচুর টাকা চুরি হয়েছে। সোনার গহনা নিয়ে চলে গিয়েছে। এখানে রোজ রাতে পাশের মাঠে মদের আসর বসে। আমি চাইছি যাতে খোয়া যাওয়া জিনিসগুলো ফিরে পাই।” গৃহকর্ত্রী শম্পা দত্ত বলেন, “বাইরের গেটের চাবি ঠিক ছিল। মেন গেট খুলতে যাব তালা ভাঙা। আর বুঝতে বাকি হয়নি। দৌড়ে ঘরে ঢুকে দেখি সব ফাঁকা। মাইক্রোওভেন খুলে দেখেছে যে কিছু আছে কি না।”