Bankura: ৩৫ লক্ষ টাকা দিয়েও দলে পদ না পাওয়ার অভিযোগ, শাসকদলের নেত্রীর বিরুদ্ধে পোস্টার

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়দীপ দাস

Nov 04, 2022 | 8:23 PM

Bankura: পোস্টারগুলি এদিন এলাকার মানুষের চোখে পড়তেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। শোরগোল শুরু হয়ে যায় জেলার রাজনৈতিক মহলে।

Bankura: ৩৫ লক্ষ টাকা দিয়েও দলে পদ না পাওয়ার অভিযোগ, শাসকদলের নেত্রীর বিরুদ্ধে পোস্টার

Follow Us

বাঁকুড়া: দলের পদ দেওয়ার বিনিময়ে আগাম মোটা টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) এক নেত্রীর বিরুদ্ধে। টাকা দিয়েও পদ না মেলায় এলাকায় পড়ল পোস্টার। শুক্রবার সকালে বাঁকুড়ার (Bankura) কোতুলপুরের গরুরহাটতলা এলাকায় এমনই অসংখ্য পোস্টার পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। একই ধরনের পোস্টার দেখা যায় কোতুলপুরের আরো বেশ কয়েকটি জায়গায়। বিষয়টি নিয়ে তৃনমূলের কোনও স্তরের নেতা-নেত্রীর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

শুক্রবার সকালে বাঁকুড়ার কোতুলপুরের গরুর হাটতলা এলাকায় দেওয়ালে বেশ কিছু পোস্টার নজরে আসে স্থানীয়দের। পোস্টারটি তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অলোক মুখোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে লেখা হয়েছে। পোস্টারের ভিতরের অংশে মহিলা তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী সঙ্গীতা মালিকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। পোস্টারে দাবি করা হয়েছে তৃণমূলের কোতুলপুর ব্লকের সভাপতি ও অঞ্চল সভাপতি করার জন্য পোস্টারদাতাদের কাছ থেকে অগ্রীম ৩৫ লক্ষ টাকা নিয়েছেন সঙ্গীতা মালিক। ওই টাকা দেওয়া হলেও তাঁদের বাদ দিয়ে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে তরুণ নন্দীগ্রামী ও কৌশিক বটব্যালকে কোতুলপুর ও জয়পুর ব্লকের সভাপতি পদে বসানো হয়েছে বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় পোস্টারদাতারা দাবি করেছেন তাঁরা আর পদ চান না। কিন্তু দেওয়া টাকা তাঁদের ফিরিয়ে দিতে হবে। আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে দেওয়া টাকা ফেরৎ না পেলে অভিযোগটি দলের রাজ্য সভাপতিকে জানানোর হুমকিও দিয়েছে পোস্টারদাতারা।

পোস্টারগুলি এদিন এলাকার মানুষের চোখে পড়তেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। শোরগোল শুরু হয়ে যায় জেলার রাজনৈতিক মহলে। এদিকে এ ঘটনার পর থেকে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে দেখা করেননি অভিযুক্ত মহিলা নেত্রী সঙ্গীতা মালিক। বিজেপির দাবি দলের অন্দরে পদ নিতেও এখন টাকার লেনদেন হচ্ছে তৃনমূলে। এই পোস্টার তারই প্রতিফলন। এ প্রসঙ্গে বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি নীরাজ কুমার বলেন, “৫ বছর ধরে যাঁরা টাকা দিয়ে পঞ্চায়েত প্রধান হয়েছিলেন তাঁরা অনেক টাকা লুঠেছেন। অন্যদিকে যাঁরা বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প থেতে টাকা তুলছিল তাঁরা এখন প্রধান হতে চাইছেন। ৩৫ লক্ষ টাকার ব্যাপারটা মিথ্যা নয়। এই ভাবে চেয়ার কেনা হচ্ছে। আগের দুবারও এভাবে চেয়ার বিক্রি হয়েছে। এবার সেই ছবি দেখা যাচ্ছে। সে কারণেই সঙ্গীতা মালিকের বিরুদ্ধে ওনারই দলের লোকেরা পোস্টার লাগাচ্ছেন।” 

Next Article