বাঁকুড়া: ‘আমাদের দেশে গুলি করার আইন নেই। থাকলে গুলি করা উচিত ছিল।’ ট্যাবকাণ্ডে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এ কথা বললেন বাঁকুড়ার তৃণমূল সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী। তা নিয়েই নতুন চর্চা জেলার রাজনীতির আঙিনায়। প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ট্যাবে তোলপাড় গোটা রাজ্য। শোরগোল চলছে। রাজনৈতিক মহলেও বাড়ছে চাপানউতোর। এরইমধ্যে বিস্ফোরক মন্তব্য তৃণমূল সাংসদের। যদিও একই ইস্যুতে আবার তৃণমূলের তুলোধনা করেছে পদ্ম শিবিরও। আক্রমণ শানিয়েছেন সুভাষ সরকারের মতো নেতারা।
বাঁকুড়ার প্রাক্তন সাংসদ তো বলছেন, “হ্যাকাররা অ্যাকাউন্ট নম্বর পাবে কোথা থেকে? হ্যাকার এবং তৃণমূল নেতাদের চক্র থেকেই গোটা ঘটনা ঘটেছে। আসলে এই সরকার দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে। তাই যতক্ষণ না সরকার বদলাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত এই সব তদন্ত করে কিছুই হবে না।” যদিও পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় সুভাষ সরকার বলছেন, “এই টাকা তো তৃণমূল বণ্টন করে না। সরাসরি ছাত্রদের অ্যাকাউন্টে যায়। জালিয়াতি যাঁরা করছে তাঁদের গুলি করে মারা উচিত। আমাদের দেশে গুলি করার আইন নেই। থাকলে গুলি করা উচিত ছিল। আমাদের দেশে ফাঁসির সাজা হয়। এদের তো এই ধরনের সাজা পাওয়া উচিত।”
এখানেই না থেমে আরও ক্ষোভের সুরে অরূপ বলেন, “এই কুকীর্তি করে সরকারের বদনাম করে, ছাত্রদের প্রতি প্রতারণা করে তাঁদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত। বিজেপি কী বলল তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। কিন্তু অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা হওয়া উচিত। ব্যাঙ্কের লোক জড়িত থাকলে সেটাও দেখা উচিত। যাঁরাই দোষী তাঁদের এমন সাজা দিতে হবে যেন সমাজ এদের বয়কট করে।” প্রসঙ্গত, ট্যাব কাণ্ড নিয়ে এদিনই সাংবাদিক বৈঠক করেন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার। জানান এখনও পর্য়ন্ত রাজ্যে ১৯১১ জন ট্যাব জালিয়াতির শিকার হয়েছেন। গ্রেফতার করা হয়েছে ১১ জনকে। পুলিশের বিশেষ দল তদন্ত চালাচ্ছে।