বাঁকুড়া: প্রবল দাবদাহে পুড়ছে বাঁকুড়ার উত্তর থেকে দক্ষিণ। বেলা দশটা পেরোলেই দহন জ্বালায় জ্বলছে সাধারণ মানুষ। ইতিমধ্যেই সোমবার থেকে সারা রাজ্যে সরকারি স্কুলে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু তার আগে স্কুলে পড়ুয়ারা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে এই আশঙ্কাতেই অভিনব ওয়াটার বেল চালু করেছে বিভিন্ন স্কুল। পড়ুয়াদের শরীর হাইড্রেট রাখতে স্কুল সময়ের নির্দিষ্ট সময় অন্তর দেওয়া হচ্ছে ওয়াটার বেল।
প্রবল গরমের কারণে এ রাজ্যে ইতিমধ্যেই গ্রীষ্মের ছুটি এগিয়ে এনেছে রাজ্য সরকার। সেই নির্দেশ মেনে সোমবার থেকে সরকারি স্কুলে শুরু হচ্ছে ছুটি। কিন্তু পরীক্ষা থাকায় জেলার বেশ কিছু বেসরকারি স্কুল এখনই রাজ্যের নির্দেশ মানছে না। তবে উচ্চ তাপমাত্রায় পড়ুয়াদের যাতায়াতের জন্য সকালে স্কুল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু তারপরও রেহাই মিলছে কই? সকাল থেকে যেভাবে প্রবল চড়া রোদ থাকছে তাতে যে কোনও সময় অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে পড়ুয়ারা। ভয়ঙ্কর এই পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের হাইড্রেট রাখতে বিভিন্ন স্কুলে ওয়াটার বেল চালু করেছে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি স্কুল।
বাঁকুড়া গার্লস হাইস্কুলের পড়ুয়াদের জল পানের জন্য নির্দিষ্ট সময় অন্তর দেওয়া হচ্ছে ঘণ্টা। ঘন্টা পড়লেই পড়ুয়ারা নিজের নিজের জলের বোতল খুলে জল পান করছে। শিক্ষক শিক্ষিকাদের দাবি,গরমে পড়ুয়াদের সুস্থ রাখতে বাধ্য হয়েই এই ওয়াটার বেল চালু করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষিকা মাহাত বলেন, “তাপমাত্রা ক্রমবর্ধমান। ছোট শিশুদের মধ্যে জলের অভার যাতে না হয় সেই কারণে এই ওয়াটার বেল। আসলে অভিভাবকরা চিন্তা করেন আদৌ শিশুরা স্কুলে গেলে জল ঠিক মতো খাবে কি না। সেই কারণে স্কুলে দু’বার বেল বাজানো হচ্ছে। যাতে বাচ্চারা জল খান।”