বাঁকুড়া: আবাস যোজনায় (PMAY) যাঁরা সার্ভে করছেন, সেইসব আশাকর্মী বা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের নিরাপত্তার দিকটি নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছিল নবান্ন। ভার দেওয়া হয়েছিল পুলিশ সুপার ও জেলাশাসকদের। অথচ এরপরও জেলায় জেলায় আশাকর্মীদের উপর আক্রমণের অভিযোগ উঠছে। আবাস যোজনার তালিকা থেকে নাম বাদ পড়তেই ক্ষোভে ফুঁসে উঠছেন উপভোক্তারা। অনেক ক্ষেত্রেই সমীক্ষার কাজে যুক্তদের উপর আক্রমণ করা হচ্ছে। বাঁকুড়া থেকে জলপাইগুড়ি, সোমবার আশা কর্মীদের হেনস্থা করার অভিযোগ উঠল। সোমবার বাঁকুড়া-১ ব্লকের পচিরডাঙা এলাকায় এক আশাকর্মীর উপর আক্রমণ করা হয় বলে অভিযোগ। আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে পর্যন্ত নিয়ে যেতে হয়। পচিরডাঙায় আবাস যোজনার সমীক্ষার কাজ করেছিলেন স্থানীয় আশাকর্মী আসমিরা বেগম এবং মাধবী দত্ত, লতিকা দত্ত নামে দুই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। তালিকা সামনে আসার পর নাম বাদ পড়া উপভোক্তাদের বাড়ির মহিলারা আসমিরাকে মারধর করে বলে অভিযোগ। সন্ধ্যায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
আশাকর্মীর উপর এই হামলার অভিযোগ উঠতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। আহত আশাকর্মীর সঙ্গে দেখা করেন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নিলাদ্রীশেখর দানা। বিধায়কের দাবি, তৃণমূলের নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়েছে। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, বিজেপির উস্কানিতে এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
বাঁকুড়া জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যে বা যারা এসব উস্কানির রাজনীতি করছে, প্রশাসনের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে যেন কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এখানকার পঞ্চায়েত তো বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েত। আমার কাছে খবর আছে, বিধায়ক নিজে এসব বিষয় নিয়ে পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করছে। ” আক্রান্ত আশাকর্মী আসমিরা বেগম বলেন, “আমি বাড়িতে ছিলাম। আমাকে ২০-২৫ জন মেয়ে গিয়ে আমায় তুলে এনে মারধর করে। আবাস যোজনার সার্ভে করায় মার খেতে হল।”
অন্যদিকে সোমবার জলপাইগুড়ির পাহাড়পুরে এক আশাকর্মীকে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগ ওঠে। জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের পাহাড়পুর গ্রামপঞ্চায়েতেরে বালাপাড়া এলাকার বাসিন্দারা এই বিক্ষোভ দেখান বলে অভিযোগ। আবাস যোজনার তালিকা প্রকাশ হওয়ার পরই এই ঝামেলা হয়।