বাঁকুড়া: ফের বিজেপি বিধায়কের বাড়িতে সিআইডির দল। বাঁকুড়ার বিধায়ক নীলাদ্রি দানার মেয়ে মৈত্রী দানার সঙ্গে কথা বলতে সোমবার বাঁকুড়ার কানকাটা এলাকায় বিধায়কের বাড়িতে যান সিআইডি আধিকারিকরা। প্রায় আড়াই ঘণ্টা সেখানে ছিলেন তাঁরা। কল্যাণী এইমসে (Kalyani AIIMS) নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগের তদন্তেই এর আগেও বিজেপি বিধায়কের বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। সোমবারও ফের সেখানে যান তাঁরা।
কল্যাণী এইমসে গ্রুপ ডি পদে চাকরি করেন মৈত্রী দানা। এ বছরই তিনি চাকরিতে যোগ দেন। অভিযোগ উঠেছে, বিধায়ক বাবার প্রভাবকে কাজে লাগিয়েই কেন্দ্রীয় এই চিকিৎসাকেন্দ্রে চাকরি পেয়েছেন মেয়ে। সে কারণেই এদিন মৈত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে যায় সিআইডি। এদিন সিআইডির চার আধিকারিক তাঁর বাড়িতে যান। প্রায় আড়াই ঘণ্টা মৈত্রীর সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা।
সূত্রের খবর, গত ১ এপ্রিল কল্যাণী এইমসের নার্সিং কলেজে ডেটা এন্ট্রি অপারেটর পদে যোগ দেন মৈত্রী দানা। এদিকে এই নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে মুর্শিদাবাদের এক চাকরি প্রার্থী কল্যাণী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তভার দেওয়া হয় সিআইডিকে। এর আগে একবার মৈত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। যদিও তাতে বিশেষ কোনও সূত্র বেরিয়ে আসেনি বলেই খবর। এদিন ফের বাড়িতে যান তদন্তকারীরা।
তদন্ত সম্পর্কে সিআইডি কিছু জানালেও মৈত্রী দানার আইনজীবী শুভাশিস দে বলেন, “অফিসাররা এসেছিলেন পুনরায় তদন্তের জন্য। আসলে মৈত্রীর সঙ্গে কথা বলার জন্য। এর আগে যে স্টেটমেন্টগুলো দেওয়া হয়েছিল, সেই স্টেটমেন্টের উপর কিছু প্রশ্নের উত্তর জানার ছিল, তাই তাঁরা এসেছিলেন। আর কিছুই নয়। জিজ্ঞাসাবাদের সময় মৈত্রী ছিলেন। ওনার মা ছিলেন। আমি নীচে ছিলাম। কী প্রশ্ন করেছেন, তা আমি জানি না। তবে আমার মক্কেল মৈত্রী বললেন, তিন চারটি বিষয় পরিষ্কার হওয়ার জন্য কয়েকটা প্রশ্ন করা হয়েছে। উনি উত্তরও দিয়েছেন। পুরোটাই ভিডিয়ো রেকর্ডিং হয়েছে।” তিনি জানান, তাঁর মক্কেল তদন্তে সবরকম সহযোগিতাই করছেন। তবে প্রয়োজনে ফের সিআইডি টিম যেতে পারে বলেও মনে করছেন মৈত্রীর আইনজীবী।