বাঁকুড়া: সার ও শস্যবীজের কালোবাজারির অভিযোগ বিরোধীদের বহুদিনের। তারই প্রতিবাদে সোমবার ব্লক কৃষি দফতরে স্মারকলিপি জমা দিতে গিয়েছিলেন পাত্রসায়রের (Bankura Patrasayar) বিজেপি কর্মীরা। অভিযোগ, পাঁচ বিজেপি (BJP) কর্মীকে বেধড়ক মারা হয়। তারই প্রতিবাদে থানার সামনে বসে বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপি বিধায়ক, সাংসদ-সহ দলের জেলা সভাপতি। অভিযোগের আঙুল তৃণমূলের দিকে। ঘাসফুল শিবির তা অস্বীকার করে পাল্টা দাবি করে, বিজেপির লোকজনের মারে দুই কৃষক আহত হয়েছেন।
সার ও বীজের কালোবাজারির প্রতিবাদে বাঁকুড়ার পাত্রসায়রে ব্লক কৃষি দফতরে স্মারকলিপি জমা দিতে যান বিজেপি কর্মীরা। অভিযোগ, সেই সময় তাঁদের উপর অতর্কিতে হামলা চালায় বেশ কয়েকজন। তাঁদের মারধরও করা হয়। এই ঘটনায় গুরুতর জখম হন পাঁচজন। এই ঘটনারই প্রতিবাদে সোমবার পাত্রসায়র থানার সামনে ধরনায় বসেন সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামি। ছিলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। বিজেপির অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে হলেও শাসকদল তা অস্বীকার করেছে। পাল্টা তারা দাবি করে, তৃণমূলেরই তিনজনকে মারধর করা হয়েছে বিজেপির তরফে।
স্থানীয় সূত্রে গিয়েছে, এদিন রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সার, বীজের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দেয় বিজেপি। সেইমতোই বাঁকুড়ার পাত্রসায়র ব্লক কৃষি দফতরেও ডেপুটেশন দিতে যায় তারা। অভিযোগ, যাওয়ার পথে আচমকাই হামলা হয় তাদের লোকজনের উপর। আহতদের দু’জনকে স্থানীয় পাত্রসায়র হাসপাতালেও নিয়ে যেতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। পরে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় সোনামুখী ব্লক হাসপাতালে। এরপরই সোনামুখী হাসপাতালে যান স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামি ও সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। পরে ওই বিধায়ককে সঙ্গে নিয়েই পাত্রসায়র থানায় যান বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। সঙ্গে ছিলেন বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিল্লেশ্বর সিংহও।
সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেন, “ভারতীয় জনতা পার্টির কৃষক সেল থেকে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। সারে দুর্নীতি করা হচ্ছে কেন তার জবাব চাইতে গিয়েছিলাম আমরা। পাত্রসায়রে আমাদের ছেলেরা যেতেই তাঁদের উপর আক্রমণ হানা হল। এটা লজ্জার। বাঁকুড়া জেলার কৃষকরা রাসায়নিক সার পাচ্ছেন না। তার জন্যই আমরা আওয়াজ তুলি। তৃণমূলের লোকজন এই ঘটনা ঘটিয়েছে।”
যদিও তৃণমূল নেতা সুব্রত দত্তের বক্তব্য়, “সার তো কেন্দ্র সরকারই মূলত সরবরাহ করে থাকে। কেন্দ্র দিচ্ছে না আর বিজেপি নেতারা এসে এখানে ডেপুটেশন দিয়ে মানুষকে বোকা বানাচ্ছে, ভুল বোঝাচ্ছে। এই ভুল বোঝানোকে কেন্দ্র করেই কয়েকজন কৃষকবন্ধু ও এলাকার লোকজনের সঙ্গে বিজেপির লোকেদের তর্কাতর্কি হয়। এতে দুই তৃণমূল সমর্থক কৃষক আহত হন। বিজেপির তো আসলে এখানে কিছুই নেই। সাংসদ এসেছিলেন ধরনায় বসতে। অথচ লোকজন কেউ নেই। লোকজন তো ওনাদের ভোট দিয়েছেন। সাংসদ, বিধায়ককে নির্বাচিত করেছেন। তা ওনারা উন্নয়ন কেন করছেন না? খুঁজেই তো পাওয়া যায় না ওনাদের।”