Recruitment Scam: তৃণমূল নেতার নামে পড়ল পোস্টার, চাকরির নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Oct 15, 2022 | 12:55 PM

Bankura News: যে নেতার নামে অভিযোগ, তাঁর বক্তব্য এই অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই। এসব কুৎসা, অপপ্রচার।

Recruitment Scam: তৃণমূল নেতার নামে পড়ল পোস্টার, চাকরির নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ
তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ।

Follow Us

বাঁকুড়া: তৃণমূলের জেলা যুব সভাপতির বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল বাঁকুড়ায়। অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নিয়ে ওই নেতা এখন ধরা ছোঁয়ার বাইরে। বিরোধীদের সঙ্গে মিলে দলেরই ক্ষতি করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে ওই পোস্টারে। বাঁকুড়া-১ ব্লকের এই ঘটনা ঘিরে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যদিও যাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ, তৃণমূলের সেই জেলা যুব সভাপতি সন্দীপ বাউড়ির বক্তব্য, এসব ষড়যন্ত্র। তাঁর বিরুদ্ধে কুৎসা করা হচ্ছে।

বাঁকুড়ার তৃণমূল যুব সভাপতি সন্দীপ বাউড়ি। প্রাইমারিতে চাকরি দেওয়ার নামে তিনি টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে পোস্টারে লেখা হয়েছে। বাঁকুড়া-১ ব্লকের ভিকুরডিহি বাস যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের দেওয়ালে শনিবার এই পোস্টার ঘিরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। পোস্টারে সাদা কাগজের উপর কালো কালিতে লেখা রয়েছে ‘প্রাইমারিতে চাকরি দেওয়ার নাম করে দলের কর্মীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আমাদের জেলা যুব সভাপতি সন্দীপ বাউরি ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। এইসব চোর নেতাদের জন্যই আমাদের দলের এই অবস্থা। এই সব নেতারা দলটাকে শেষ করে দিচ্ছে। বিজেপির সঙ্গে সেটিং করে দলের ক্ষতি করছে। দলের কাছে অনুরোধ যাতে এই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয় এবং সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’

এ প্রসঙ্গে সন্দীপ বাউড়ির বক্তব্য, “এগুলো বিরোধীদের অপপ্রচার। সামনে পঞ্চায়েত ভোট আসছে। বিরোধীরা বুঝে গেছে বাঁকুড়া ১ নম্বর ব্লকের প্রত্যেকটা গ্রামপঞ্চায়েতেই তৃণমূল ক্ষমতায় আসছে। যে দু’টো পঞ্চায়েতে রাজত্ব করছে বিজেপি, সেখানেও আমরা জিততে চলেছি। ওরা লোক পাচ্ছে না ব্লক থেকে। তাই কুৎসা, অপপ্রচার করছে। এই পোস্টারের কথা আমি দলকে জানাচ্ছি। আমি এফআইআরও করব। এসব হাসির কথা। এখানকার মানুষ জানেন আমি কেমন। এটা ষড়যন্ত্র। তবে এসব করে তৃণমূলের কোনও ক্ষতি করতে পারবে না ওরা। পঞ্চায়েতে তৃণমূল আবারও জিতবে।”

অন্যদিকে বিজেপি নেতা বিকাশ ঘোষ বলেন, “পোস্টার দেখে তো বোঝাই যাচ্ছে তৃণমূলেরই কোনও একটা অংশ এটা করেছে। এর সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই। এটা ওদের নিজেদের ব্যাপার। টাকা নিয়েছে কি না সেটা ওদের লোকেরাই জানে না। আমার ধারনা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এজেন্টগুলো প্রত্যেকটা ব্লকে ব্লকে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাঁরা টাকা পয়সা নিয়েছে। ধীরে ধীরে আসল সত্য উঠে আসবে।”

Next Article