Cricket Fan Suicide: বিশ্বকাপে ভারতের হার মানতে না পেরে আত্মঘাতী বাংলার যুবক

Hirak Mukherjee | Edited By: অংশুমান গোস্বামী

Nov 20, 2023 | 11:29 AM

বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড়ের রাহুল লোহার ক্রিকেটের বড় ভক্ত। গোটা দেশের পাশাপাশি তাঁরও আশা ছিল রোহিত-বিরাটদের হাতেই উঠবে বিশ্বকাপ। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতের কোনও খেলা দেখা থেকে বিরত থাকতেন না রাহুল। রবিবার কাজে যাননি তিনি। বন্ধুদের সঙ্গে বেলিয়াতোড়ের সিনেমাহলের প্রোজেক্টারে খেলা দেখতে গিয়েছিলেন। ভারতের হার দেখে স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণা বুকে নিয়ে বাড়িও ফিরেছিলেন। এর পর রাত ১১টা নাগাদ রাহুলের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান তাঁর ভাই।

Cricket Fan Suicide: বিশ্বকাপে ভারতের হার মানতে না পেরে আত্মঘাতী বাংলার যুবক
ভারত হেরে যাওয়ায় আত্মঘাতী যুবক।
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

বেলিয়াতোড়: বিশ্বকাপ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ভারতীয় ক্রিকেট দলের হারে হৃদয় ভেঙেছে কোটি কোটি দেশবাসীর। ম্যাচ হারার পর থেকে কেউ কান্না চেপে রাখতে পারেননি, তো কেউ মনের দুঃখে চুপ হয়ে গিয়েছেন। কিন্তু বাঁকুড়া জেলার বেলিড়াতোড়ের এক যুবক বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের হারের ধাক্কা সহ্য করতে পারেননি। রবিবার রাতে নিজের বাড়িতেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। আত্মঘাতী যুবকের নাম রাহুল লোহার (২৩)। পরিবারের দাবি, বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের হারে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন রাহুল। সেই শোক সামলাতে না পেরেই আত্মঘাতী হয়েছেন।

বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড়ের রাহুল লোহার ক্রিকেটের বড় ভক্ত। গোটা দেশের পাশাপাশি তাঁরও আশা ছিল রোহিত-বিরাটদের হাতেই উঠবে বিশ্বকাপ। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতের কোনও খেলা দেখা থেকে বিরত থাকতেন না রাহুল। তিনি শাড়ির দোকানে কাজ করতেন। বিশ্বকাপের ফাইনাল দেখবেন বলে রবিবার কাজে যাননি তিনি। বন্ধুদের সঙ্গে বেলিয়াতোড়ের সিনেমাহলের প্রোজেক্টারে খেলা দেখতে গিয়েছিলেন। ভারতের হার দেখে স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণা বুকে নিয়ে বাড়িও ফিরেছিলেন। এর পর রাত ১১টা নাগাদ রাহুলের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান তাঁর ভাই। সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার করে রাহুলকে বেলিড়াতোড় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এর পর বেলিয়াতোড় থানার পুলিশ দেহ ময়নাতদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে পাঠিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

রাহুলের আত্মহত্যার বিষয়ে তাঁর জামাইবাবু বলেছেন, “ও ভারতকে খুব সমর্থন করত। কাল ভারতের হেরে যাওয়া ও সহ্য করতে পারেনি। ঘরের চালের মধ্যে গলায় দড়ি দেয়। বাড়িতে তখন কেউ ছিল না। ওর ভাই বাড়িতে ছিল না। বাবা-মা অন্য দিকে ছিল। ওর ভাই এসে দেখে রাহুল ঝুলছে। ও খুব ভালো ছেলে ছিল। সবাই ওকে ভালবাসত। কারও সঙ্গে কোনও ঝামেলা ছিল না। একটা কাপড়ের দোকানে কাজ করত।”

Next Article