Bankura: ‘সরকারি কাজ…বেশি পাকামো নয়.. চুপ একদম’, পরীক্ষা চলাকালীন ক্যাম্প করার প্রতিবাদ করায় প্রতিবাদীকে হুমকির অভিযোগ BDO-র বিরুদ্ধে
Bankura: প্রতিবাদীর দাবি, পরীক্ষা চলাকালীন স্কুলে ওই শিবিরের আয়োজন কেন? এই প্রশ্ন তুলে অন্যায়ের প্রতিবাদ করাতেই তাঁকে হুমকি দিয়েছেন বিডিও। স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতির দাবি কী হয়েছে তা জানা নেই।

বাঁকুড়া: পরীক্ষা চলাকালীন স্কুলে আয়োজিত হয়েছিল ‘পাড়ায় সমাধান কর্মসূচি’। পরীক্ষার সময় পড়ুয়াদের মনঃসংযোগ বিঘ্নিত করে স্কুলে কেন এমন কর্মসূচি হচ্ছে? সেই নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। আর এতেই চটলেন বিডিও। অভিযোগ, প্রতিবাদীদের একজনকে প্রকাশ্যে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়ে বসলেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার সিমলাপাল ব্লকের পুখুরিয়া হাইস্কুলের।
বাঁকুড়ার সিমলাপাল ব্লকের পুখুরিয়া হাইস্কুলে শুক্রবার আয়োজিত হয়েছিল ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান কর্মসূচি’। স্কুলে যখন একদিকে পরীক্ষা চলছিল, সেই সময় স্কুলেরই একাংশে ঘটা করে এই কর্মসূচির আয়োজন করার প্রতিবাদ করেছিলেন স্থানীয়দের একাংশ। কিন্তু সে কথায় কান দেয়নি কেউ। উল্টে শিবির পরিদর্শনরত স্থানীয় সিমলাপাল ব্লকের বিডিও মানস চক্রবর্তীকে বিষয়টি জানাতে গেলে বিডিও এক প্রতিবাদীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন বলে অভিযোগ। হুমকির সেই ভিডিয়ো মূহুর্তের মধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। তার সত্যতা যাচাই করেনি টিভি৯ বাংলা। প্রতিবাদী স্থানীয় বাসিন্দা পরিমল মাহাতো বলেন, “আমি যেই বলেছি পরীক্ষার সময় ক্যাম্প কেন? সঙ্গে সঙ্গে বিডিয়ো কিছু না দেখই বলে দিল আপনার কী অসুবিধা হচ্ছে? আর তো কারও অসুবিধা হচ্ছে না। আমি যখন ফের বলতে যাই তখন বলছে পুলিশকে দিয়ে তুলে নিয়ে যাবেন।”
প্রতিবাদীর দাবি, পরীক্ষা চলাকালীন স্কুলে ওই শিবিরের আয়োজন কেন? এই প্রশ্ন তুলে অন্যায়ের প্রতিবাদ করাতেই তাঁকে হুমকি দিয়েছেন বিডিও। স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতির দাবি কী হয়েছে তা জানা নেই। তবে পরীক্ষা চলাকালীন স্কুলে এই ধরনের শিবির করা অভিপ্রেত নয়। বিডিওর হুমকি প্রসঙ্গেও তাঁর দাবি এই ঘটনা না ঘটলেই ভাল হত। সংশ্লিষ্ট ভিডিয়োয় বিডিওকে বলতে শোনা যাচ্ছে, “এই চুপ করো তো… বেশি কথা বলবেন না… সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার জন্য তুলে নিয়ে চলে যাব।”
অভিযুক্ত বিডিওর দাবি স্কুলের পাশে থাকা একটি ক্লাবের মাঠে শিবিরের আয়োজন হয়েছিল। শুধুমাত্র স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য স্কুলের দুটি ক্লাসরুম নেওয়া হয়েছিল। শিবিরের জন্য স্কুলের পরীক্ষার্থীদের কোনও সমস্যা হয়নি। বিডিও মানস চক্রবর্তী বলেন, “ওই ব্যক্তি (প্রতিবাদী) বিষয়টি নিয়ে শিবির বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দিলে তাঁকে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে তুলে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিলেন।”
বিজেপির দাবি বর্তমানে সিমলাপাল ব্লকে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি নেই। তাই বিডিও তৃণমূলের অঙ্গুলিহেলনেই এমন কাজ করেছেন। তৃণমূলের স্থানীয় বিধায়ক ফাল্গুনী সিংহ মহাপাত্র বলেন, “শিবিরের জন্য পরীক্ষার্থীদের কোনও অসুবিধা হবে না, এব্যাপারে নিশ্চিত হয়েই সেখানে শিবির করা হয়েছে।”

