বোলপুর: শনিবার যতটা তীব্রতার সঙ্গে মেদিনীপুরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) রাজনৈতিক সভা করলেন। রবিবার ততটাই সমঝে ও মেপে পা ফেলতে হতে পারে তাঁকে। কেননা, সভা রয়েছে শান্তিনিকেতনে। যেখানে তাঁর পা রাখার আগে থেকেই বিতর্কিত পোস্টার নিয়ে যথেষ্ট অস্বস্তিতে রয়েছে বিজেপি (BJP)। যেহেতু শান্তিনিকেতনের সভা আপাতভাবে অরাজনৈতিক। ফলে এই সভা ঘিরে কিছুটা হলেও সাবধানী পদক্ষেপ করতে দেখা যাচ্ছে গেরুয়া নেতৃত্বকে।
এদিনের মতোই বোলপুরেও ক্যামেরার সামনেই মধ্যাহ্ন ভোজন সারবেন অমিত শাহ। সূত্রের খবর, তাঁর সঙ্গে সেখানে কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষ, অনুপম হাজরার মতো বিজেপি নেতারা উপস্থিত থাকবে। তবে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিতি এখনও নিশ্চিত করা হয়নি। তবে মধ্যাহ্ন ভোজনের সারিতে একটা জায়গা ফাঁকা রাখা হয়েছে। সম্ভবত সেখানেই শুভেন্দু থাকতে পারেন, এমন সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে বির্তক এড়ানোর সবরকম বন্দোবস্ত এবার করে রাখা হচ্ছে। সূত্রের খবর, আগামিকাল বিশ্বভারতীর অনুষ্ঠানে অমিত শাহ ও স্বপন দাসগুপ্ত বাদে ‘ব্রাত্য’ রাখা হচ্ছে বাকি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের। ফের যাতে নতুন করে বির্তক না সৃষ্টি হয়, তার জন্য আগেভাগে সেই পদক্ষেপ করছে বিজেপি নেতৃত্ব। তবে শুধুমাত্র বিজেপি রাজ্য সভাপতি স্বপন দাসগুপ্ত আগামিকালের সভায় উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। কারণ, তিনি বিশ্বভারতীর কোর্ট মেম্বার৷ তবে প্রশ্নও উঠছে যে, যেখানে রাজনৈতিক বিতর্ক এড়াতে কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে থাকতে দেওয়া হচ্ছে না, সেখানে স্বপন দাসগুপ্তই বা থাকছেন কেন?
আরও পড়ুন: ‘মজবুর’ নয়, সংখ্যালঘুদের ‘মজবুত’ হওয়ার বার্তা দিয়ে প্রচার শুরু মিমের
তবে এই সবের মধ্যে অমিত শাহ আগামিকাল কী বক্তব্য পেশ করেন সেদিকে বিশেষভাবে নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কর্মভূমিতে তিনি আপাদমস্তক রাজনৈতিক অবতারে ধরা দেন, নাকি বিশ্বভারতীর আচার্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মতোই কেবল হাল্কা বির্তকের ছোঁয়া দিয়ে বেরিয়ে যান, সেদিকেই অধীর আগ্রহে তাকিয়ে রাজ্যের আমজনতা।
আরও পড়ুন: উপ নির্বাচন কমিশনার ফিরতেই মুখ্যসচিবকে চিঠি কমিশনের!