TV9 বাংলা ডিজিটাল : দল ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পদত্যাগের ৪ দিন যেতে না যেতেই ‘দলের ছেলে’ দলেই ফিরলেন। তিনি আর কেউ নন, বীরভূমের রামপুরহাট পুরসভার কাউন্সিলর (Rampurhat Municipality Councilor) আব্বাস হোসেন। পদত্যাগের ৪ দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ বদলে গেল ছবি। ২৫ নভেম্বর পদত্যাগ পত্র জমা দেওয়ার পর শনিবার ২৯ তারিখ ফের দলে যোগ দেন আব্বাস। দলের একাংশের দাবি, এ কাজের ‘কৃতিত্ব’ অনুব্রত মণ্ডলের(Anubrata Mondal)।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনপ্রিয় তৃণমূল নেতা আব্বাস হোসেনের (Abbas Hossain) মূল বিরোধ ছিল রামপুরহাট পুরসভার প্রশাসক অশ্বিনী তিওয়ারির সঙ্গে। দল ছাড়ার আগে অশ্বিনীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন আব্বাস। সংবাদমাধ্যমেও পদত্যাগের কথা স্বীকার করেন। কিন্তু, শনিবার তৃণমূল কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠকে রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্টই জানিয়ে দেন, দল ছাড়ছেন না আব্বাস। দলের সঙ্গে যে মনোমালিন্য হয়েছিল তা দলেই মিটিয়ে নিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন :বীরভূমে বন্দুকের নলে বিজেপির সভা,পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিসের সম্বল টিয়ার গ্যাস
প্রসঙ্গত, আব্বাস হোসেন সংখ্যালঘু সংগঠনের বড় মুখ। শুধু তাই নয়, দলের কো-অর্ডিনেটরও তিনি। এই পরিস্থিতে, তাঁর দলত্যাগের ঘটনা যারপরনাই অস্বস্তিতে ফেলেছিল জেলা তৃণমূলকে। শীর্ষ স্থানীয় নেতৃত্বের আহ্বানেও যখন চিঁড়ে ভিজল না, তখন হাল ধরলেন স্বয়ং অনুব্রত মণ্ডল। জেলা সভাপতি হওয়ার সুবাদে বীরভূমের একচ্ছত্র নায়ক অনুব্রত বিভিন্ন সময়েই তাঁর প্রভাব জাহির করেছেন। আব্বাসকে দলে ফেরানোর কলকাঠি যে তিনিই নেড়েছেন, এ বিষয়ে কোনও দ্বিমত পোষণ করেননি দলের সদস্যরা।
উল্লেখ্য, ২০১৮ তে পঞ্চায়েত নির্বাচনে অনুব্রত জেলা পরিষদে বিরোধীদের প্রার্থী হতে দেননি বলে অভিযোগ উঠেছিল। ‘উন্নয়ন বাড়ি’, ‘পাঁচন বাড়ি’-মতো মন্তব্যও ঝড় তুলেছিল রাজনীতির অঙ্গনে। সম্প্রতি, দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh) নিশানা করেও নানা বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন কেষ্ট। এবার আব্বাসের দলে ফেরা প্রমাণও করে দিল, অনুব্রত বিশেষ বির্তকে না থেকেও স্বমহিমায় আছেন।