‘ডেভলপমেন্টটা কেষ্টর থেকে কেউ ভাল বোঝে না’, ভূয়সী প্রশংসা মমতার
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে অনুব্রতর হিট ডায়লগ' ছিল, 'রাস্তা জুড়ে খড়গ হাতে দাঁড়িয়ে আছে উন্নয়ন।'
বীরভূম: কেষ্ট সব জানে…কেষ্টকে যাঁরা বলেন, কেষ্ট শুধু ঝগড়া করেন, তাঁরা তো সবটা জানেনই না…বোলপুরের প্রশাসনিক সভায় বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের পিঠ চাপড়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাঁ দিকের কোণায় চেয়ারে বসে ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। মুখ্যমন্ত্রীর সামনে তখন প্রশাসনিক কর্তা কর্তাব্যক্তিদের পাশাপাশি নিজের এলাকার সমস্যা তুলে ধরছিলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। তাঁদের প্রত্যেকেই কথার শেষে সংযোজন করেছেন, “কেষ্টদা আমাদের সমস্যার কথা জানে, তিনি আমাদের পুরোটাই গাইড করেন, গোটা পঞ্চায়েতের খোঁজখবর রাখেন, উন্নয়নের ধারাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করছেন।”
মুখ্যমন্ত্রীর সামনে পরপর দুই ব্যক্তি ‘কেষ্টদা’ সম্পর্কে প্রশংসা করতেই মাইক হাতে পিছনে বসে থাকা অনুব্রত মণ্ডলের দিকে তাকান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর হেসে বলেন, “কেষ্ট সবই জানে। যাঁরা শুধু বলেন, কেষ্ট শুধু ঝগড়া করতে পারে, তারা জানেন না কেষ্ট ডেভলপমেন্টের কাজটা খুব ভাল বোঝে সবার থেকে…” উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে অনুব্রতর হিট ডায়লগ’ ছিল, ‘রাস্তা জুড়ে খড়গ হাতে দাঁড়িয়ে আছে উন্নয়ন।’
আরও পড়ুন: ‘ভরসা পেলাম, আপনার শক্তিশালী কন্ঠ মন ছুঁয়ে গেল’, মমতাকে চিঠি অমর্ত্য সেনের
কেষ্ট যে তাঁর বরাবরই ‘স্নেহের পাত্র’ তা আগেও একাধিকবার কথাতেই প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারও কেষ্ট সম্পর্কে এই কথাগুলো বলার সময়ে তাঁর মুখে ছিল স্নেহের হাসি। মুহূর্ত ক্ষণিকের। তবুও এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন কেষ্টর প্রশংসা করলেন, তখন হাততালি দিয়ে গোটা মুহূর্তের স্বাক্ষী থাকলেন গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে সেসময় উপস্থিত প্রত্যেকেই।