বীরভূম: বেশ কিছু দিন ধরেই আলাপিনী সমিতি নিয়ে আশ্রমিক ও প্রাক্তনীদের একটি অংশ বিশ্বভারতী (Visva Bharati University) কর্তৃপক্ষের সমালোচনায় সরব। বিশ্বভারতীর আলাপিনী মহিলা সমিতির সদস্যদের ঘর ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। তারই প্রতিবাদে অবস্থান বিক্ষোভে বসছেন আলাপিনী মহিলা সমিতির সদস্যরা।
তাঁদের দাবি, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তথা উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী অনৈতিকভাবে আলাপিনী মহিলা সমিতিকে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। সমিতির সদস্যদের বক্তব্য, উপাচার্য তাঁদের সঙ্গে কোনও আলোচনায় বসলে তারা সেই বিষয়ে রাজি। আলোচনার মধ্য দিয়ে এই সমস্যার রফাসূত্র খুঁজে পেতে চাইছেন তাঁরা।
কিন্তু বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কোনওরকম আলোচনা ছাড়া দ্বিতীয়বারের জন্য তাঁদের উঠে যাওয়ার নোটিস পাঠিয়েছে। রবিবার সকাল থেকেই শান্তিনিকেতনের আনন্দ পাঠশালার গেটের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন আলাপিনী মহিলা সমিতির সদস্যরা। বিক্ষোভকারীরা প্রত্যেকেই পঞ্চাশোর্ধ। তাই প্রচণ্ড ঠান্ডায় একটানা বিক্ষোভে সামিল হতে পারছেন না তাঁরা।
প্রসঙ্গত, ১৯১৬ সালে শান্তিনিকেতনে আলাপিনী মহিলা সমিতির প্রতিষ্ঠা করেন দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর। পরবর্তীতে ইন্দিরা দেবী চৌধুরানি বিশ্বভারতীর উপাচার্য থাকাকালীন এই ঘর আলাপিনী সমিতির হাতে তুলে দেন। সম্প্রতি এই ,সমিতির সদস্যদের সঙ্গে বিবাদ তৈরি হয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের।
আরও পড়ুন: মমতার মতো কেউ এত সাধারণ পুলিসকে চেনেন না, গিনেস বুকে নাম ওঠা উচিত: গৌতম দেব
একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে আলাপিনী সমিতির বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ তুলেছে বিশ্বভারতী কর্মী-পরিষদ। পাল্টা সমিতির সদস্যদের অভিযোগ, তাঁদের সরিয়ে আসলে উপাচার্য নতুন করে ‘আলাপিনী মহিলা সমিতি’ গঠন করতে চাইছেন। আর সেই পথ পরিষ্কার করতেই একাধিক অভিযোগ তোলা হচ্ছে।