Tarapith: রাতারাতি তারাপীঠে নামছে ১০০০ হাজার পুলিশ, সঙ্গে ১৭০০ সিভিক! বসে গেল ২০০ সিসিটিভি
Tarapith Security: মন্দির কমিটির লোকজন বলছেন তাঁরা মনে করেছেন এ বছর সব মিলিয়ে ৪-৫ লাখেরেও বেশি মানুষের সমাগম হতে পারে তারাপীঠে। কোনওরকম বিশৃঙ্খলা এড়াতে প্রস্তুত রয়েছে প্রশাসন। ঢেলে সাজানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

তারাপীঠ: হাতে আর একটা দিন। তারপরই কৌশিকী অমাবস্যা। সেজে উঠছে তারাপীঠ। শোনা যায় এই কৌশিকী অমাবস্যার রাতে তারাপীঠের মহাশ্মশানে সাধনা করে মা তারার দর্শন পেয়েছিলেন সাধক বামদেব। সেই উপলক্ষে প্রতি বছরই এই দিনটিতে কয়েক লক্ষ মানুষের ঢল নামে এখানে। তারাপীঠে মূল মন্দিরের পাশেই দ্বারকা নদীর পাড়ে রয়েছে তারাপীঠ মহাশ্মশান। শোনা যায় এখানেই পঞ্চমুন্ডির আসনে বসে সপ্তঋষি বশিষ্ট মুনি তপস্যা করেছিলেন। তিনিও মা তারার দর্শন পেয়েছিলেন। তাই তারপীঠ নিয়ে মানুষের কৌশিকী অমাবস্যার তিথিতেই এই শ্মশানের শ্বেতশিমুল বৃক্ষের নীচে সাধনা করেছিলেন বামদেবও। তারপর তিনি পেয়েছিলেন দর্শন। আর সেই থেকেই কৌশিকী অমাবস্যার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে তারাপীঠে।
বাংলা তো বটেই, ওই দিন তারাপীঠের মহাশ্মশানে তন্ত্র সাধনা করতে আসেন বহু তন্ত্রসাধক। মহাশ্মশানে জ্বলে ওঠে অংসক্য হোমকুণ্ড। তিথি বলছে ২২ অগস্ট শুক্রবার বেলা ১১ টা ৫৬ মিনিটে কৌশিকী অমাবস্যা শুরু হচ্ছে। চলবে ২৩ অগস্ট শনিবার বেলা ১১ টা ২৪ মিনিট পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যেই তারপীঠে পুজো দিতে ঢল নামবে মানুষের।
মন্দির কমিটির লোকজন বলছেন তাঁরা মনে করেছেন এ বছর সব মিলিয়ে ৪-৫ লাখেরেও বেশি মানুষের সমাগম হতে পারে তারাপীঠে। কোনওরকম বিশৃঙ্খলা এড়াতে প্রস্তুত রয়েছে প্রশাসন। ঢেলে সাজানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তৎপর বীরভূম জেলা পুলিশ ও তারাপীঠ মন্দির কমিটি। মন্দিরের মূল প্রবেশ পথগুলিতে বসানো হচ্ছে মেটাল ডিটেক্টর গেট। গোটা চত্বরে বসছে প্রচুর সিসিটিভি। সূত্রের খবর সংখ্যাটা ২০০-র বেশি।
মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে ১৭৫ জন বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মী থাকছেন। অন্যদিকে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছে রাজ্য পুলিশের ৩০০ আধিকারিক-সহ ১০০০ জন পুলিশ কর্মী। থাকছে ১৭০০ সিভিক ভলান্টিয়র। পুলিশের নজরদারির জন্য ১০ অস্থায়ী ওয়াচ টাওয়ার তৈরি করা হয়েছে। যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য ৩৭ টি ড্রপগেট করা হয়েছে।
