বীরভূম: জেলায় অজানা জ্বরের প্রকোপ অব্যাহত। উত্তরবঙ্গ থেকে অজানা জ্বরের সংক্রমণের ঘটনা সামনে এলেও বাদ পড়েনি দক্ষিণবঙ্গ। একের পর এক জেলায় জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের খবর সামনে আসতে শুরু করে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল ও সিউড়ি মহকুমা হাসপাতালে শিশুদের আক্রান্তের সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। তবে প্রশাসন দাবি করছে এটি শুধুমাত্র ভাইরাল ফিভার। প্রত্যেক শিশুকেই দু’তিনদিন চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।
বোলপুর মহকুমা আধিকারিক বুদ্ধদেব মুর্মু বলেন,”ঋতু পরিবর্তনের জন্য শিশুদের মধ্যে সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে ভালো বিষয় যে বাবা-মা আগের থেকে অনেক বেশি সচেতন হয়েছেন। যার কারণে বাচ্চাদের মধ্যে সমস্যা দেখা দিলে তাঁরা সঙ্গে-সঙ্গে চিকিৎসকদের পরামর্শ গ্রহণ করছেন। সেই কারণে হাসপাতালে শিশুদের উপস্থিতি আগের তুলানায় বেড়েছে। ” তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, জ্বর ছাড়াও হাসপাতালে আসছেন অনেক শিশু। যাঁরা আসছে তাঁদের মধ্যে কোনও অস্বাভাবিকত্ব লক্ষ্য করা যায়নি। পাশাপাশি পর্যাপ্ত বেড, পর্যাপ্ত ওষুধেরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে,সিএমওএইচ হিমাদ্রি আড়ি জানিয়েছেন, “জেলায় এই মুহুর্তে সংক্রমণের ব্যাপক প্রাদুর্ভাব হয়নি। তবে জ্বর হচ্ছে শিশুদের সেই খবর পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিটি ব্লকে নজরদারি রাখা হচ্ছে। জ্বর হলেই বাড়ি-বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছে মেডিক্যাল টিম। ”
ক্রমশ খারাপ হচ্ছে উত্তরবঙ্গের অবস্থা। একের পর এক শিশুর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার ফের এক শিশুর শরীরে মিলল করোনা সংক্রমণ। এই নিয়ে গত ৮ দিনে ৪ শিশু নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হলো। পাশাপাশি শ্বাসকষ্ট বাড়ায় জ্বরে আক্রান্ত ৩ শিশুকে স্থানান্তরিত করা হলো উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে।
ঘটনায় জলপাইগুড়ি রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান বিজয় চন্দ্র বর্মণ বলেন, “গতকাল রাতে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগের ভর্তি থাকা ৩ জন শিশুকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের স্থানান্তরিত করা হয়। পাশাপাশি নতুন করে আরও এক শিশুর দেহে করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। বুধবার রাত বারোটা পর্যন্ত জলপাইগুড়ি শিশু বিভাগে ভর্তি রয়েছে মোট ১০৭ জন শিশু। একই সঙ্গে গতকাল রাত পর্যন্ত নতুন করে ভর্তি হয়েছিল ২৪ জন শিশু। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৬ জন শিশু। শ্বাসকষ্ট সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় ৩ শিশুকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়েছে।”
আরও পড়ুন: Visva-Bharati Controversy: ফের প্রশ্ন তোলায় ফের শোকজ বিশ্বভারতীর অধ্যাপককে!