বীরভূম: বিশ্বভারতীর মাঠে করা যাবে না পৌষমেলার (Poush Mela) আয়োজন। আগেই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Visva-Bharati University) কর্তৃপক্ষ। জল গড়িয়েছিল হাইকোর্টে। এরইমধ্যে এবার বিকল্প পৌষমেলার প্রস্তুতি শুরু করে দিল রাজ্য সরকার। বীরভূম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বৈঠকে বসল বোলপুর পুরসভা, শ্রীনিকেতন শান্তিনিকেতন উন্নয়ন পর্ষদ, বোলপুরের ব্যবসায়ী সমিতি, বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের সদস্যরা। শুক্রবার বৈঠক হল বোলপুর প্রশাসনিক ভবনে।
সূত্রের খবর, ২৩ থেকে ২৮ ডিসেম্বর সকাল দশটা থেকে রাত্রি দশটা পর্যন্ত বোলপুর ডাকবাংলা ময়দানে হতে পারে মেলা। স্টেডিয়াম ময়দান সহ পাঁচটি অংশ নিয়ে বিশাল আকারে মেলার আয়োজন হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। শেষ পাওয়া খবরে জানা যাচ্ছে, ডাকবাংলো ময়দানে মেলা করার ব্যাপারে মোটের সকলেই সম্মতি প্রকাশ করেছেন প্রশাসনিক কর্তারা। এদিন বোলপুরের প্রশাসনিক ভবনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দনাথ সিংহ, বীরভূমের জেলাশাসক বিধানচন্দ্র রায়, বীরভূম জেলার সভাধিপতি তথা সিউড়ি বিধানসভার বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, বোলপুরের মহকুমা শাসক অয়ন নাথ, বোলপুরের মহকুমা পুলিশ নরেন্দ্র ত্রিপাঠি , বোলপুর পুরসভার পুরপ্রধান পর্ণা ঘোষ সহ অন্যান্যরা।
প্রসঙ্গত, গত বছরও এই ডাকবাংলো ময়দানেই বসেছিল পৌষমেলা। চূড়ান্ত সিলমোহর না পরলেও এখনও পর্যন্ত যা খবর তাতে এবারও সেখানেই মেলা হতে চলেছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতীর নির্দিষ্ট মাঠে মেলা করতে চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন স্থানীয় এক বাসিন্দা। তারই শুনানিতে এদিন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ বিশ্বভারতীর মাঠে পৌষমেলার অনুমতির আবেদন খারিজ করে দিয়ে মামলা ফিরিয়ে দেয়। জানানো হয়, মেলা হবে কিনা সে বিষয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। অন্যদিকে বিশ্বভারতীর মাঠে পৌষমেলার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে চলছে ছাত্র আন্দোলন। উপাচার্যের বাড়ির সামনেও চলে দফায় দফায় অবস্থান বিক্ষোভ।