বিশ্রী! রুপশ্রীর টাকা হাতাতে ফের ছাদনাতলায় গৃহিণী
Rupashree: কারও বিয়ে হয়েছে ৪ বছর হল। কেউ বা দুই সন্তানের মা। তারাই ভুয়ো বিয়ের কার্ড দেখিয়ে তুলছে রাজ্য সরকারের রুপশ্রী প্রকল্পের টাকা। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিতে এমনই 'ভুয়ো' কনেদের খোঁজ পাওয়া গেল বীরভূমে।
বীরভূম: কারও বিয়ে হয়েছে ৪ বছর হল। কেউ বা দুই সন্তানের মা। তারাই ভুয়ো বিয়ের কার্ড দেখিয়ে তুলছে রাজ্য সরকারের রুপশ্রী প্রকল্পের টাকা। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিতে এমনই ‘ভুয়ো’ কনেদের খোঁজ পাওয়া গেল বীরভূমে।
কয়েক বছরের দাম্পত্য জীবন যাপন, সন্তানও হয়েছে। তবে সেই আবার ঘটা করে ভুয়ো বিয়ের প্রস্তুতি নিয়ে রুপ্রশী প্রকল্পের ২৫ হাজার টাকা পেয়ে যা। সরেজমিনে তদন্ত নেমে এমন ৮ ভুয়ো কনের তথ্য ফাঁস হল শনিবার বারবেলায়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন নলহাটির বিডিও হুমায়ুন চৌধুরী স্বয়ং। ঘটনার তদন্তে নলহাটি থানার পুলিশ।
আর্থিক ভাবে দুর্বল পরিবারের মেয়েদের বিয়ের আয়োজনের জন্য রূপশ্রী প্রকল্প চালু করে মমতা সরকার। সেই প্রকল্পে জমা পড়া আবেদন খতিয়ে দেখতে গিয়েই নলহাটির প্রশাসনিক কর্তাদের চোখ ছানাবড়া।
নলহাটির বিডিও জানান, কিছু আবেদনের নথি দেখেই সন্দেহ হয়েছিল। তার পর ৮ অভিযুক্তের দেওয়া তথ্য সবিস্তারে দেখতেই বেরিয়ে আসে আসল গল্প। এর পরে সরজমিনে তদন্ত করে পরিষ্কার হয়ে হন তাঁরা। ওই আট মহিলাই বেশ কয়েক বছর আগে বিয়ে করেছেন। স্বামী-সন্তান নিয়ে সাংসারিক জীবনও দিব্যি চলছে। কিন্তু তারাই রুপশ্রী প্রকল্পের মাধ্যেমে সরকারি অনুদান হাতানোর পরিকল্পনা করছিলেন। নির্বাচনের ব্যস্ততার সুযোগেই প্রশাসনকে বোকা বানানোর চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ বিডিওর।
এই ৮ অভিযুক্তদের মধ্যে ছ’জন নওয়াপাড়া এবং বাকি দু’জন তিলোরার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। অভিযুক্তদের নাম মোমেনা খাতুন, রুবেনা খাতুন, হাসেনা খাতুন, লাসুনিয়া খাতুন, মুরসিদা খাতুন, গৌরি মাল, আশা মাল এবং সম্প্রীতি দাস। এই ৮ অভিযুক্তের মধ্যে প্রথম জনের আবার একটি বছর দুইয়ের সন্তানও রয়েছে। বাকিদের বিয়ে হয়েছে ২ থেকে ৪ বছর আগে। পুলিশ সূত্রে খবর, এই ৮ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সরকারি প্রকল্পে অর্থ আদায়ে ভুয়ো তথ্য পেশ করার অপরাধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আরও পড়ুন: হাতে বিপত্তারিণীর লাল ধাগা, গলায় ঝুলছে মাস্ক! করোনাকালে ভয় ধরাচ্ছে দক্ষিণেশ্বর