বীরভূম: এবার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খিচুড়িতে মিলল ইঁদুর সেদ্ধ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হুলুস্থূল নলহাটির কুরুমগ্রামের মহিষপাড়ায়। এখানকার ৩ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শনিবার খিচুড়ি রান্না করে তা মা ও বাচ্চাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সেই খিচুড়ি বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর এক মহিলা তাতে ইঁদুরের পা দেখতে পান বলে অভিযোগ। তিনিই লোকজন ডেকে বিষয়টি জানান। এরপর শুরু হয় হইচই। যদিও যিনি এই খিচুড়ি রান্না করেছেন, তাঁর বক্তব্য, কীভাবে ইঁদুর এলো তা তিনি জানেন না। তাঁর প্রশ্ন, যদি রান্নার সময় বা খাবার দেওয়ার সময় ইঁদুর পড়ত, তা হলে তা তিনি দেখতে পেতেন। কারণ, হাতা দিয়ে খিচুড়ি তোলার সময় এত বড় ইঁদুর পড়ে থাকলে তা নজরে আসতই।
মহিষপাড়া ৩ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শনিবার সকালে ৭৩ জন শিশু ও একাধিক গর্ভবতী মহিলা খিচুড়ি নিয়ে যান। পূর্ণিমা মণ্ডল নামে এক মহিলা বলেন, “খিচুড়ি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বাচ্চাকে খাওয়ালাম। পরে কিছুটা ছিল, ভাবলাম সেটা খেয়ে নিই। সেই খিচুড়ি খেতে গিয়ে দেখি ইঁদুরের পা পড়ে আছে। পরে সেই ইঁদুরের পা সকলকে এনে দেখালাম। পরে রান্নার হাঁড়িতে দেখি ইঁদুর পড়ে আছে। এই খিচুড়িই তো এতগুলো বাচ্চা খেল। ওদের তো শরীর খারাপও হতে পারে।”
স্থানীয় বাসিন্দা সুখেন মণ্ডলের বক্তব্য, “রান্নার সময় একটু তো যত্নবান হতে হবে। এখানে সময় বাঁচাতে যা খুশি করা হয়। খিচুড়ি বসাল কোনও একটা হাঁড়িতে। তার উপর একটা পাত্র বসিয়ে ডিম সেদ্ধ করে। ভাপে ডিম সেদ্ধ হয়। খিচুড়িটা নাড়াচাড়াও করে না।” যদিও এই অভিযোগ একেবারেই মানতে চাননি এখানকার রান্নার দায়িত্বে থাকা লক্ষ্মী মহারাজ।
লক্ষ্মী বলেন, “নতুন বস্তা থেকে চাল নিয়ে রান্না করি। ভালভাবে ধুয়ে নজর দিয়েই রান্না করেছি। এমনকী মায়েদের যখন খাবার তুলে দিলাম, হাঁড়িতে ইঁদুর থাকলে তো দেখতে পেতাম। কী করে ইঁদুর চলে এলো বুঝলামই না। হাঁড়িতে একটা বড় ইঁদুর পড়ে থাকলে রান্নার সময় একবার না একবার তো দেখতেই পেতাম। কী হয়েছে বুঝলাম না।”