বোলপুর: স্কুলের ভিতরে এক আজব চুরির ঘটনা। স্কুলের অফিস ঘরের সব আলমারি খোলা। সামনেই সরস্বতী পুজো। আলমারির মধ্যে সরস্বতী ঠাকুরের কিছু সোনার দামি অলংকারও রাখা ছিল। স্কুলের কাজে ব্যবহারের ল্যাপটপও রাখা ছিল সেখানে। সরস্বতী ঠাকুরের একটি মুকুটও ছিল। কিন্তু চোরের দেব-দেবীতে ভক্তি আছে বলতে হবে। ঠাকুরের কিছু চুরি করেনি। সেগুলি একেবারে সযত্নে নামিয়ে টেবিলের উপর রেখে দিয়েছিল। আর আলমারিতে সামান্য যা কিছু খুচরো টাকা-পয়সা ছিল, শুধু সেগুলি নিয়েই চম্পট দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের বোলপুরের শৈলবলা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে।
এই স্কুলটি রয়েছে বোলপুরের নীচু পট্টি এলাকায়। এই পাড়াতেই বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ি। কেষ্ট মণ্ডল এখন অবশ্য রয়েছেন তিহাড়ে। যে কেষ্টর দাপটে এক সময়ে এলাকায় বাঘে-গরুতে এক ঘাটে জল খেত বলে শোনা যায়, সেই কেষ্টর পাড়াতেই স্কুলের ঢুকে চুরির অভিযোগ। আজ সকালে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রুবি ঘোষ যখন স্কুলে আসেন, তখন তাঁর একেবারে চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার জোগাড়।
তিনি অবশ্য স্কুলে ঢোকার আগেই খবর পেয়ে গিয়েছিলেন চোরের এই কীর্তির। যিনি স্কুলের গেট খোলেন, তিনিই প্রথম বিষয়টি দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে ফোন করেন প্রধান শিক্ষিকাকে। তিনি তখন স্কুলের আসছিলেন। রাস্তাতেই ফোন মারফত গোটা বিষয়টি তাঁর কানে আসে। জানতে পারেন, অফিস ঘরের সব আলমারি খোলা পড়ে রয়েছে। অফিস ঘরের একটি জানলায় রড কাটা। একটি দরজার হাতলও ভাঙা। তবে চোরের কীর্তি দেখে কিছুটা অবাক শিক্ষিকারা। ঠাকুরের গয়না, মুকুট, ল্যাপটপ সব রেখে সামান্য কিছু টাকা-পয়সা চুরি করে নিয়ে গিয়েছে চোর। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই বোলপুর থানায় একটি অভিযোগ জানানো হয়েছে স্কুলের তরফে।