শান্তিনিকেতন: ফের বিতর্কে বিশ্বভারতী! অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বিশ্ববিদ্যালয়! এমনই অভিযোগ তুলে এবার আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দ্বারস্থ হলেন চার ছাত্রী। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর দফতরেও চিঠি পাঠিয়েছেন তাঁরা। ওই চার ছাত্রীর অভিযোগ, ২০২১ সালে প্রথমবার অধ্যাপকের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা। সেখানেই থেমে থাকেননি। দিনের পর দিন কর্তৃপক্ষের দরজায় ঘুরেছেন। এমনকী অতি সম্প্রতি অনশন আন্দোলনও করেছেন তাঁরা। পড়ুয়াদের দাবি, অধ্যাপকের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না হওয়ায় আতঙ্কে রয়েছেন তাঁরা। ব্যক্তিগত জীবনে বা পঠন-পাঠনে প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তাঁরা।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দফতরের পাশাপাশি ইমেল মারফত চিঠি পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক, নারী ও শিশুকল্যান মন্ত্রককেও। এছাড়াও চিঠি দেওয়া হয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, জাতীয় ওবিসি কমিশন, ইউনিভার্সিটি গ্রান্ট কমিশনকেও (UGC)।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় নৃতত্ত্ব বিভাগের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন চার ছাত্রী। জাতিগত বিদ্বেষের শিকার হয়েছিলেন বলেও দাবি ওই ছাত্রীদের। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কাছে প্রথমবার ওই অভিযোগ জানানো হয় ২০২১ সালের মার্চ মাসে। গত জুলাই মাসে বিশ্বভারতীতে অবস্থান-বিক্ষোভে বসেছিলেন ওই চারজন ছাত্রী। তাতেও কোন লাভ না হওয়ায় এই এবার এই চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘অনশন বিক্ষোভের খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছিল, তা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষের কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই। আমরা আতঙ্কে আছি।’ অভিযোগকারী ওই ছাত্রী জানিয়েছেন আর কোনও উপায় না থাকায় এটা করতে বাধ্য হয়েছেন তাঁর।
বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানিয়েছেন, অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রশ্ন উঠেছে, ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে কী এমন তদন্ত চলছে!