বীরভূম: দেউচা পাঁচামি কয়লা প্রকল্প নিয়ে বারবার স্বপ্ন দেখিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রকল্প সম্পূর্ণ হলে মিটে যাবে বিদ্যুতের সঙ্কট, চাকরি পাবেন লক্ষ লক্ষ মানুষ, এমন আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। কিন্তু সেই প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার আগেই শুরু বিক্ষোভ। জমি দেওয়ার পর মিলেছে চাকরির আশ্বাস, মেলেনি চাকরি। তাই এবার সোজা জেলা শাসকের দফতরে হাজির হলেন জমিদাতাদের একটা বড় অংশ। ক্রমিক নম্বর অনুযায়ী যাঁদের আগে চাকরি হওয়ার কথা ছিল, তাঁরা কেন এখনও চাকরি পেলেন না, তা নিয়েই অভিযোগ। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জেলাশাসকের দফতরের ভিতরেই ধরনায় বসেছিলেন সেই জমিদাতারা। রাত পর্যন্ত বিক্ষোভ দেখানোর পর তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন জেলা শাসক।
দেউচা পাঁচামির কয়লা প্রকল্পে সাম্প্রতিককালে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সিঙ্গুরের কথা মাথায় রেখে প্রশাসন সতর্ক রয়েছে যাতে জোর করে কারও কাছ থেকে যাতে জমি না নেওয়া হয়। জমি কেবলমাত্র তাদের কাছ থেকেই নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল, যারা জমি দিতে ইচ্ছুক। তাঁদের পুনর্বাসন ও চাকরি প্রদানের কথাও বলা হয়েছে। চাকরি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরুও হয়েছে ইতিমধ্যে।
তবে জমিদাতাদের একাংশের অভিযোগ, ক্রমিক নম্বর অনুযায়ী তাঁদের পরে ছিলেন এমন অনেকে চাকরিতে যোগও দিয়েছেন। কিন্তু তাঁরা চাকরি পাননি। শুধু একের পর এক তারিখ জানানো হয়েছে তাঁদের। তাঁরাই এবার জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ। এক জমিদাতা বলেন, “আমরা মোট ৬৩১ জন আছি, যাঁদের চাকরি দেওয়া হয়নি। আমরা ২০২১ সালে জমি দিয়েছিলাম। বারবার আমরা আসছি আর আমাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। জমি না পেলে সিঙ্গুর যেমন হয়েছে, তেমনটাই হবে। বন্ধ করে দেওয়া হবে প্রকল্প।” এ ব্যাপারে প্রশাসনের তরফ থেকে কারও কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার রাতে জেলা শাসক বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানিয়েছেন চাকরি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।