সিউড়ি: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে জাতিবিদ্বেষের মামলায় অবশেষে আদালতে জমা পড়ল চার্জশিট। মামলার ৫৫ দিনের মাথায় জমা হল চার্জশিট। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, ১৪৪ পাতার চার্জশিট তৈরি করা হয়েছে। গতকাল সিউড়ি জেলা আদালতে এই চার্জশিট জমা করেন তদন্তকারী অফিসার স্বপনকুমার চক্রবর্তী। সরকার পক্ষের আইনজীবী জানাচ্ছেন, চার্জশিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী-সহ মোট চার জনের নাম রয়েছে। আইনজীবী বললেন, ‘উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রশান্ত ঘোষ ও তন্ময় নাগের নামে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, জ্ঞানত জাতি নিয়ে বিদ্বেষ করেছেন।’
জানা যাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন প্রশান্ত মেশরাম নামে এক ব্যক্তি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক অ্যান্ড রিসার্চ বিভাগের ডেপুটি রেজিস্টার হিসেবে কর্মরত। আবেদনকারীর অভিযোদগ, তাঁর পদোন্নতি আটকাতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। এমনকী তিনি তফসিলি সম্প্রদায়ভুক্ত হওয়ার কারণে তাঁকে বিভিন্ন অপমানজনক কথা বলেছেন উপাচার্য-সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট চার জন আধিকারিক। সেই নিয়ে অভিযোগও জানিয়েছিলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক অ্যান্ড রিসার্চ বিভাগের ডেপুটি রেজিস্টার।
সরকার পক্ষের আইনজীবী বলছেন, এই ঘটনায় মামলাকারীর সামাজিক সম্মান নষ্ট হয়েছে। অর্থনৈতিকভাবে ও মানসিকভাবে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে জানা যাচ্ছে, চার্জশিটে নাম থাকা উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী-সহ তিনজন ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের থেকে রক্ষাকবচ পেয়েছেন। সেই কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে এখনই কোনও পদক্ষেপ করছে না পুলিশ। তবে আদালত সূত্রে খবর, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারনাল অডিট অফিসার প্রশান্ত ঘোষের কোনও রক্ষাকবচ নেই এবং তাঁর বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করার জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছেন তদন্তকারী অফিসার।