Domestic Violence: শ্বশুরবাড়িতে উদ্ধার হয়েছিল বধূর দগ্ধ শরীর, ৮ বছর পর যাবজ্জীবন ৭ জনের

হিমাদ্রী মণ্ডল | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Sep 02, 2023 | 10:00 AM

Domestic Violence: আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালে শাহনাজ পারভিন নামে এক গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ ওঠে শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। ঘর থেকে ওই বধূর দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়।

Domestic Violence: শ্বশুরবাড়িতে উদ্ধার হয়েছিল বধূর দগ্ধ শরীর, ৮ বছর পর যাবজ্জীবন ৭ জনের
দোষী সাব্যস্ত ৭ জনের
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

বীরভূম: গৃহবধূ হত্যার মামলায় সাত জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল দুবরাজপুর আদালত। খয়রাশোল ব্লকের লোকপুর থানার নওপাড়া গ্রামে ২০১৫ সালে গৃহবধূ শাহনাজ পারভিন ওরফে গুড়িয়া খুনে আট জনের নামে লোকপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে মৃতের পরিবার। অভিযুক্ত স্বামী শেখ মুজিবুল ও তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী শেফালি বিবির- সহ পরিবারের সাত সদস্যের দোষী সাব্যস্ত করা করে আদালত। শুক্রবার দুবরাজপুর অ্যাডিশনাল ডিসট্রিক্ট অ্যান্ড সেশন জজ ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট সাত জনকে দোষী সাব্যস্ত করে।

বধূ নির্যাতন ও পুড়িয়ে মারার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত সাবিলা ওরফে পিয়া বিবি, শেফালি ওরফে রুপালি বিবি ও সেখ মুজিবুল। ৪৯৮ এ, ৩০৭, ৩০২, ১২০ বি ধারায় তাঁদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ৩০২ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় দুবরাজপুর আদালতের বিচারক। ১০০০০ টাকা জরিমানা, ৩০৭ ধারায় ১০ বছর কারাদণ্ড ও ৫০০০ টাকা জরিমান করা হয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালে শাহনাজ পারভিন নামে এক গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ ওঠে শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। ঘর থেকে ওই বধূর দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের সদস্যরা খুনের অভিযোগ তোলেন। তাঁদের দাবি, বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন কারণে শাহনাজকে মারধর করতেন স্বামী। শ্বশুরবাড়ির সদস্যরাও তাঁর ওপর অত্যাচার করতেন। বাড়িতে সেকথা জানিয়েছিলেন শাহনাজ। কিন্তু বাড়ির লোক আবার বুঝিয়ে শ্বশুরবাড়িতে তাঁকে রেখে আসেন। এরপর একদিন শ্বশুরবাড়ি থেকেই তাঁর দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। এরপর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ৮ জনকে গ্রেফতার করে। তাদের মধ্যে ৭ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। পাশাপাশি একজন নাবালকের বিচার চলছে সিউড়ি জুভেনাইল আদালতে।

Next Article