Hetampur College: ছাত্রদের ‘আবদার’ রাখেননি অধ্যাপকরা? তালাবন্দি করে দেওয়া হল ‘শিক্ষা’
Birbhum: এই সেমেস্টারে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি ভেন্যু ইনচার্জ অরিন্দম ঘোষ বলেন, "পরীক্ষা শুরুর ১ ঘণ্টা ১০ মিনিট পর একজন মহিলা পরীক্ষার্থীকে নিয়ে বেশ কিছু ছাত্রছাত্রী এসে হাজির হয়। তাদের দাবি ছিল, ওই ছাত্রীকে পরীক্ষায় বসতে দিতে হবে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ২০ মিনিট অবধি ছাড় দেওয়া হয়।"
বীরভূম: পরীক্ষা শুরুর প্রায় এক ঘণ্টা পর পরীক্ষাকেন্দ্রে এসে পৌঁছন ছাত্র। পরীক্ষায় বসতে চান তিনি। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ তাতে রাজি হয়নি। অভিযোগ, এরপরই অধ্যাপক-অধ্যাপিকা ও অশিক্ষক কর্মীদের তালা বন্ধ করে আটকে রাখে ছাত্রদের একাংশ। এ ঘটনায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নাম জড়ায়। দুবরাজপুর ব্লকের হেতমপুর কৃষ্ণচন্দ্র কলেজে এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় সোমবার। কলেজের অধ্যাপকদের দাবি, পরীক্ষায় বসার একটা নিয়ম আছে। সকলকেই সেটা মানতে হয়। দুম করে যখন তখন এসে পরীক্ষায় বসতে দিতে বললেই তা দেওয়া যায় না।
এই সেমেস্টারে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি ভেন্যু ইনচার্জ অরিন্দম ঘোষ বলেন, “পরীক্ষা শুরুর ১ ঘণ্টা ১০ মিনিট পর একজন মহিলা পরীক্ষার্থীকে নিয়ে বেশ কিছু ছাত্রছাত্রী এসে হাজির হয়। তাদের দাবি ছিল, ওই ছাত্রীকে পরীক্ষায় বসতে দিতে হবে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ২০ মিনিট অবধি ছাড় দেওয়া হয়। ১ ঘণ্টা অতিক্রান্ত মানে অনেকে পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছে। প্রশ্নপত্র বাইরে চলে গিয়েছে। সেখানে কোনওভাবেই কোনও পরীক্ষার্থীকে ছাড় দেওয়া যায় না।” অভিযোগ, এদিন দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৪টে পর্যন্ত আটকে রাখা হয় অরিন্দম ঘোষ-সহ অন্যান্য অধ্যাপক অধ্যাপিকাদের।
সহকারি ভেন্যু ইনচার্জের দাবি, পরীক্ষায় বসতে দিতে রাজি না হওয়ায় হুমকি দেওয়া হয়। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর তালাবন্ধ করে দেওয়া হয়। বাইরে বেরোতে না পেরে অনেকে অসুস্থ বোধ করেন। যেভাবে প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়া হচ্ছে অধ্যাপক অধ্যাপিকারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি করেন অরিন্দম ঘোষ।
তবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য অর্পণ হাজরার দাবি, রাস্তায় যানজট থাকার কারণে ১০-১২ জন ছাত্রছাত্রীর কলেজে ঢুকতে একটু দেরি হয়ে যায়। অর্পণ বলেন, “অধ্যাপকরা তাঁদের পরীক্ষায় বসতে দেননি। তাই তালা বন্ধ করে রেখেছি। আমাদের দাবি, যাঁরা পরীক্ষা দিতে পারেননি তাঁদের অবিলম্বে পরীক্ষায় বসতে দিতে হবে।”