বীরভূম: জেলমুক্তির পর রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তাঁকে কিছুটা মুহ্যমান দেখাচ্ছিল। কোর কমিটিতে তাঁর সদস্য পদ থাকা না থাকা নিয়ে চর্চাও হয়েছে বিস্তর। ‘একনায়কতন্ত্রের’ তত্ত্ব খাঁড়া করে সওয়াল করেছিলেন জেলায় তাঁর অন্যতম ‘প্রতিপক্ষ’ বলে পরিচিত কাজল শেখ। তাঁর হয়েই সওয়াল করেছিলেন শতাব্দী রায়। কথা হচ্ছে বীরভূমের বাঘ অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে। তাঁকে নিয়ে এত জলঘোলার পর শেষমেশ বীরভূমের কোর কমিটির চেয়ারম্যান অনুব্রত মণ্ডলই। প্রশ্ন উঠছিল, ‘চেয়ারম্যান’ পদে রয়েছেন, কিন্তু ক্ষমতায় কতটা বলীয়ান? কালীঘাটের বৈঠকের পর এবার সে কথাই স্পষ্ট করলেন কেষ্ট।
অর্থাৎ বীরভূমের রাশ যে নিজেই হাতেই রাখলেন অনুব্রত, নিজমুখেই সেকথা স্পষ্ট করলেন। বললেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে বললেন. বীরভূমে আমার কোর কমিটি করা রয়েছে। মমতাদিদি আমাকে বলল, তুই চেয়ারম্যান। সবাইকে নিয়ে চলতে হবে।”
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই বীরভূমে কোর কমিটির যে বৈঠক হল, তাতে আহ্বায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী বলেন, “দিদির নির্দেশেই কোর কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে।” কিন্তু তার কিছুক্ষণ পরেই কাজল শেখ সাংবাদিকদের সামনে বলেন, “বিকাশ রায় চৌধুরীর বলতে ভুল হয়েছে। অনুব্রতকে শুধুমাত্র কোর কমিটির সদস্য হিসাবে যোগ দেওয়ানো হয়েছে।” এরপরই কোর কমিটির মাথায় কে, তা নিয়েই চলে বিস্তর চর্চা। একাধিক সময়ে মুখ খোলেন অনুব্রত ঘনিষ্ঠরা।
সোমবার যখন কালীঘাটের বৈঠকে ডাক পড়ে, তখন থেকেই নতুন করে সমীকরণের ইঙ্গিত মিলছিল। অনুব্রতর কথা অনুযায়ী, তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্থির করে দিয়েছেন, অনুব্রতই বীরভূমের কোর কমিটির মাথায়।