Anubrata Mondal: কেষ্ট এবার নিজেই ফিসচুলা অপারেশনের অনুরোধ জানালেন হাসপাতালকে

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Aug 10, 2022 | 2:07 PM

Birbhum: শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজের কর্ণধারের কাছে অনুব্রতবাবুর আবেদন তাঁকে যেন কোনও চিকিৎসক দেখে অপারেশন করুক।

Anubrata Mondal: কেষ্ট এবার নিজেই ফিসচুলা অপারেশনের অনুরোধ জানালেন হাসপাতালকে
শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজে অস্ত্রোপচারের আর্জি অনুব্রত মণ্ডলের (নিজস্ব ছবি)

Follow Us

বীরভূম: এসএসকেএম (SSKM)-এর মেডিক্যাল বোর্ডের তরফ থেকে ক্লিনচিট মিলেছিল আগেই। বীরভূম তৃণমূল জেলা সভাপতিকে দেখে উডবার্ন ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময়ে চিকিৎসক সরোজ মণ্ডল জানিয়েছিলেন, তাঁকে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন নেই। এই ঘটনার পর নিজের বাড়ি বীরভূমে ফিরে গিয়েছিলেন তিনি। পরে আবার সেখানে চিকিৎসক ডেকে বিতর্ক বাড়িয়েছিলেন কেষ্ট। এবার আরও বাড়ল তাঁর শারীরিক বিড়ম্বনা। শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজের কর্ণধারের কাছে অনুব্রতবাবুর আবেদন তাঁকে যেন কোনও চিকিৎসক দেখে অপারেশন করুক।

এই বিষয়ে শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজের কর্ণধার স্পষ্ট জানিয়েছেন, অনুব্রতবাবু তাঁর কাছে আবেদন জানিয়েছেন যাতে কোনও একজন চিকিৎসককে পাঠানো হয়। পাশাপাশি তাঁর যে ফিসচুলার সমস্যা রয়েছে তাঁর অস্ত্রোপচার খুব শীঘ্রই যেন করা হয়। ফলত, প্রশ্ন উঠছে কোথাও না কোথাও কি বাঁচার রাস্তাকে মসৃণ করতে চাইছেন তৃণমূল এই নেতা? আর এই আবেদনের প্রেক্ষিতে মেডিক্যাল কলেজের ওই কর্ণধার জানিয়েছেন তিনি চিকিৎসকদের সঙ্গে আবেদন করবেন। যদি মনে হয় তাহলেই হাসপাতালে ভর্তি নেওয়া হবে তাঁকে।

শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজের কর্ণধার বলেন, ‘অনুব্রত মণ্ডলের অস্ত্রোপচারের কেস রয়েছে। উনি জানতে চাইছিলেন যে মেডিক্যাল কলেজে সেই ধরনের ডাক্তারবাবু রয়েছেন কি না। তাহলে সুবিধা অসুবিধায় তিনি এখানে দেখাতে পারবেন। এবং এই অপারেশন কোথায় করলে ভাল হবে সেই বিষয়ও জানতে চেয়েছেন অনুব্রতবাবু। আমি ওনাকে বলেছি বিষয়টি যেহেতু ডাক্তারি বিষয় তাই স্যারদের সঙ্গে আলোচনা করছি।’

এর আগে চিকিৎসককে দিয়ে পনেরো দিনের বেড রেস্ট লিখিয়েছিলেন অনুব্রত। হাসপাতাল সূত্রে এমনটাই খবর।সূত্র মারফত জানা গিয়েছিল, ফিসচুলার চিকিৎসার জন্য অনুব্রতর বাড়িতে চিকিত্‍সক এসেছিলেন মঙ্গলবার। বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী-সহ তিন জন কর্মী অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে এসেছিলেন। অনুব্রত মণ্ডল নিজেই চিকিৎসক চেয়ে পাঠিয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে TV9 বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয় বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মুর্মুর সঙ্গে। তিনি বলেন, “আমাদের কাছে ওপরতলা থেকে নির্দেশ এসেছে। জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে নির্দেশ এসেছে। যদি কেউ অসুস্থ বলেন নিজেকে, তাহলে তো আমাদের দেখতেই হবে। আর যদি প্রশাসনিক স্তর থেকে নির্দেশ আসে, তাহলে তো আমাদের দেখতেই হবে।”

 

 

 

 

Next Article