সিউড়ি: বিভাস অধিকারীর (Bibhas Adhikari) আশ্রমের সঙ্গে ঠাকুর শ্রী অনুকূল চন্দ্রের প্রতিষ্ঠিত সৎসঙ্গের কোনও সম্পর্ক নেই। ওই আশ্রম সৎসঙ্গ অনুমোদিত কোনও প্রতিষ্ঠান নয়। টিভি নাইন বাংলাকে এই কথা জানালেন বীরভূম সৎসঙ্গের (Satsang, Birbhum) সহ প্রতি ঋত্বিক অনিল চক্রবর্তী স্বয়ং। তিনি আরও জানান, বিভাস অধিকারীর ওই আশ্রমের বিষয়ে তাঁরা লোকমুখে শুনেছেন। কিন্তু এর বেশি কিছু তাঁরা জানেন না ওই আশ্রমের বিষয়ে। টিভি নাইন বাংলাকে অনিল চক্রবর্তী বললেন, ‘১৯২৫ সালে ঠাকুর শ্রী অনুকূল চন্দ্র সৎসঙ্গ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মাতা ঠাকরুন শ্রী মনমোহিনী দেবী ছিলেন প্রথম সভাপতি। সৎসঙ্গ সোসাইটি প্রতিষ্ঠার জন্য নিয়ম-কানুন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস পাবনায় বসে ঠিক করে দিয়েছিলেন।’
যে সময় সৎসঙ্গ গঠন হয়েছিল তখনও দেশভাগ হয়নি। পরবর্তীতে দেশভাগের পরে ভারতে আবার সৎসঙ্গ রেজিস্টার্ড হয় ১৯৫২ সালে। এই সৎসঙ্গের সঙ্গে বিভাসের আশ্রমের কোনও যোগাযোগ নেই, বলছেন বীরভূম সৎসঙ্গের সহ প্রতি ঋত্বিক। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের প্রসঙ্গ টেনে এনে তাঁর ব্যাখ্যা, ‘যদি কেউ রামকৃষ্ণ রাইস মিল তৈরি করে, রামকৃষ্ণ কলেজ তৈরি করে, তাতে বেলুড় মঠের কিছু যায় আসে না। আইনগতভাবে যেমন সেখানে বেলুড় মঠ কিছু করতে পারে না, তেমনই শ্রী শ্রী ঠাকুরের নাম নিয়ে যদি কেউ কিছু করে, সেখানে সৎসঙ্গের তো কিছু করার নেই।’
অনিল চক্রবর্তীর বক্তব্য, যদি ওই আশ্রমে কোনও বেআইনি কাজ হয়, যদি ওই আশ্রম কোনও বিকৃত পথে চলে, যদি কোনও সামাজিক অপ্রতিষ্ঠা সেখানে গড়ে ওঠে, তাহলে তা দেখার জন্য রাষ্ট্র ব্যবস্থা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমি শুনেছি, ওই ব্যক্তি বহু লোকের থেকে টাকা আদায় করেছে চাকরি দেবে বলে। সেই সব করে ওই এনজিও-টি তৈরি করেছে, যার নাম দিয়েছে সৎসঙ্গ মিশন সাধনপীঠ। ওটি কোনও সোসাইটি নয়, ওটি একটি ট্রাস্ট। সেখানে উনি নিজে চেয়ারম্যান, স্ত্রী কোষাধ্যক্ষ এবং ছেলে সম্পাদক। সেটি তাঁর ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান।’ তাহলে কি সৎসঙ্গের তরফে বিষয়টি নিয়ে কোনও আইনি পদক্ষেপ করা হবে? জবাবে অনিল চক্রবর্তী জানান, ‘আমরা কোনও পদক্ষেপ করতে পারি না আইনগতভাবে। কারণ, তিনি বলবেন, তিনি একটি ট্রাস্ট তৈরি করেছেন। যে কোনও নাগরিকই ট্রাস্ট তৈরি করতে পারেন। সেখানে তো সৎসঙ্গের কিছু বলার নেই।’