কলকাতা: বগটুইকাণ্ডে আবারও চার্জশিট জমা দিল সিবিআই। সোমবার রামপুরহাট আদালতে ৮ জনের নামে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দেয় সিবিআই। বিকির আলি, নুর আলি, শের আলি ওরফে কালো, আসিফ শেখ, জোসিফ হোসেন, জামিরুল শেখ, কাইরুল শেখ, বুলু শেখ ওরফে ডল্লর নামে ৮ জনের বিরুদ্ধে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দেয় সিবিআই। প্রসঙ্গত, আগেই ১৬ জনের নামে চার্জশিট জমা পড়েছে। মোট ২৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
প্রসঙ্গত, ২১ মার্চ মধ্যরাত রামপুরহাটের একটা প্রত্যন্ত গ্রাম বগটুই গ্রাম উঠে আসে খবরের শিরোনামে। মধ্যরাতে এই গ্রামে ঘটে যায় নৃশংস হত্যাকাণ্ড। মধ্যরাতে নৃশংস গণহত্যা রীতিমতো আলোড়ন ফেলে দেয় গোটা রাজ্যে। ২১ মার্চ সন্ধ্যায় বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখকে বোমা মেরে খুনের অভিযোগ ওঠে। ঘটনাচক্রে মাঝ রাতেই বেপরোয়া বোমাবাজি হয় গ্রামে। একটি বাড়িতে দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ আরও ভয়ানক। আগুন ধরানোর আগে গ্রিল কেটে ভিতরে ঢুকে বাড়ির মহিলা-শিশুদের কোপানোরও অভিযোগ ওঠে।
অভিযোগ, ভাদু শেখ খুনের বদলা নিতে বগটুই গ্রামে ১০ টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরদিন সকালে আটজনের পোড়া দেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনার কয়েকদিন রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আরও এক মহিলার মৃত্যু হয়। ঘটনার মূল চক্রী হিসাবে উঠে আসে আনারুল শেখের নাম উঠে আসে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার কয়েকদিনের মধ্যেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকেও। প্রথমে আনারুলের খোঁজ পাচ্ছিল না পুলিশ। এরপর গ্রামে নির্যাতিত পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুব্রত মণ্ডলকে পাশে নিয়েই আনারুলকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেদিনই কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আনারুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর এই ঘটনার তদন্তভার যায় সিবিআই-এর হাতে। সিবিআই এই ঘটনার তদন্তভার হাতে নেওয়ার পরেই গ্রেফতার করেছিল ৩০ জনকে।