বোলপুর: লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে ফুঁসছে বগটুই। রামপুরহাটে সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্পের বাইরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই-এর বিরুদ্ধে উঠছে স্লোগান। মোড়গ্রাম-রানিগঞ্জ রাজ্য ও ১৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা। পরিবারের অভিযোগ, লালন শেখকে খুন করা হয়েছে। সঠিক তদন্তের দাবিতে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা।
সকালেই সিবিআই অস্থায়ী ক্যাম্পের সামনে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু সেসময় কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ বিক্ষোভ সরিয়ে দেয়। এরপর ফের দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। ব্যারিকেড করে ঘিরে রাখা হয়েছে এলাকা। গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, সিবিআই আধিকারিকদেরই গ্রেফতার করতে হবে। এখনও দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসেনি। রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর এই বিক্ষোভের অভিমুখ নির্ধারিত হতে হবে।
সিবিআই-এর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। সিবিআই-এর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ও ১২০ বি ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। পরিকল্পনামাফিক খুন ও খুনের ষড়যন্ত্রে অংশগ্রহণ করার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে না যায়, তার জন্য বগটুইয়ে সিবিআই ক্যাম্পের নিরাপত্তায় কলকাতা থেকে পাঠানো হয়েছে এক কোম্পানি সিআরপিএফ। লালনের মৃত্যুর পর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা করছে সিবিআই। সেই কারণে বাড়তি বাহিনী পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
সকালেই লালন শেখের মৃত্যুর তদন্তে রামপুরহাটের ক্যাম্প অফিসে পৌঁছয় সিবিআইয়ের একটি দল। এক প্রস্থ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সোমবার সিবিআই ক্যাম্পের শৌচালয় থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় লালন শেখের। বগটুই হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন সিবিআইয়ের হেফাজতে ছিল। লালনের মৃত্যুতে চাপে পড়ে যায় সিবিআই। কেন্দ্রীয় এজেন্সির জোনাল ডিরেক্টর সোমবারই রিপোর্ট তলব করেছিলেন। তার পরেই তদন্ত করতে আসে সিবিআইয়ের একটি দল। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেই বগটুই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করছে সিবিআই।