Bagtui Massacre: ঝরছে ঘাম, শুরু বুকে ব্যথা, মাঝপথ থেকে ফিরিয়ে আনারুলকে রাখা হল সিসিইউ-তে

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Jun 16, 2022 | 1:13 PM

Birbhum: হাসপাতাল সূত্রে খবর, আনারুলের রয়েছে একাধিক রোগের লক্ষণ। তার মধ্যে অন্যতম কার্ডিয়াক, ব্লাড সুগার, উচ্চ-রক্তচাপ সহ আরও একাধিক।

Bagtui Massacre: ঝরছে ঘাম, শুরু বুকে ব্যথা, মাঝপথ থেকে ফিরিয়ে আনারুলকে রাখা হল সিসিইউ-তে
হাসপাতালে ভর্তি আনারুল হোসেন (নিজস্ব ছবি)

Follow Us

রামপুরহাট: মঙ্গলবার অসুস্থতা নিয়ে রামপুরহাট গর্ভমেন্ট মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন বগটুই গণহত্যা কাণ্ডের অন্যতম মূল অভিযুক্ত আনারুল হোসেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে স্থানান্তরিত করা হচ্ছিল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। তবে অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় মাঝ রাস্তা থেকেই তাঁকে ফিরিয়ে পুনরায় রামপুরহাট মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়।

সূত্রের খবর, বর্ধমান যাওয়ার পথে হঠাৎ তাঁর বুকে ব্যথা শুরু হয়। সঙ্গে ঝরতে থাকে ঘাম। শারীরিক অস্থিরতা বাড়তে থাকায় তাঁকে ফিরিয়ে আনা হয় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। ফের ভর্তি করা হয় ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে। আজই সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল আনারুল হোসেনকে ।

এ দিকে, অসুস্থতার জন্য বুধবার আদালতে হাজিরা দিতে পারেননি এই তৃণমূল নেতা। ইতিমধ্যেই আনারুলের আইনজীবী সেই বিষয়টি আদালতে জানিয়েছেন বলে খবর। ফলত, পরবর্তী হাজিরার তারিখ নিয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, আনারুলের রয়েছে একাধিক রোগের লক্ষণ। তার মধ্যে অন্যতম কার্ডিয়াক, ব্লাড সুগার, উচ্চ-রক্তচাপ সহ আরও একাধিক। মঙ্গলবার রামপুরহাট ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে বসেছিল কড়া পুলিশি প্রহরা।

বগটুই কাণ্ডে গত ২৫ মার্চ আনারুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন তাঁকে গ্রেফতার করতে হবে। সেই সময় থেকেই জেল হেফাজতে রয়েছেন এই তৃণমূল নেতা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আগে থেকেই ব্লাড সুগার , উচ্চ-রক্তচাপ সহ বেশ কয়েকটি রোগে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। গতকাল অর্থাৎ সোমবার তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করে জেল কর্তৃপক্ষ।

বস্তুত, গত ২১ মার্চ বীরভূমের রামপুরহাটের ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে রামপুরহাট বগটুই মোড়ে বোমা মেরে খুন করা হয় বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান ভাদু শেখকে। সেই খুনের বদলা নিতে সেদিন রাতেই বগটুই গ্রামে ১০টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরদিন সকালে আটজনের পোড়া দেহ উদ্ধার করা হয়। দিন কয়েক পর রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরও এক মহিলার মৃত্যু হয়। দীর্ঘ একমাস মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করার পর মারা যান আরও একজন।সেই ঘটনায় নাম জড়ায় আনারুল হোসেনের। তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এরপর গত ১ জুন আনারুল হোসেন-সহ আরও ২৫ জনের জামিন নামঞ্জুর করে রামপুরহাট আদালত।দের ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশও দেওয়া হয়। রামপুরহাট আদালতে অভিযুক্তদের আইনজীবী জামিনের তাঁদের জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু সেই জামিন মঞ্জুর করেননি রামপুরহাট মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য দায়রা বিচারপতি। তখনই অভিযুক্তদের ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। আগামী ১৫ জুন তাদের আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই হাজিরার আগেই অসুস্থ আনারুলকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। ফলত, আদালতে হাজিরা দিতে পারেননি তিনি। এরপর তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় তাঁকে স্থানান্তরিত করা হল বর্ধমানে।

Next Article