বীরভূম: ‘আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।’ আবারও একই দাবি করলেন বগটুই কাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড আনারুল হোসেন। বৃহস্পতিবার রামপুরহাট জেল থেকে সিউড়ি জেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল আনারুল হোসেনকে। সেখানে সাংবাদিকদের সামনে তিনি দাবি করেন, “আমার বাড়ি ঘটনাস্থল থেকে ৫ থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে। আমার সঙ্গে ঘটনার কোনও যোগ নেই। ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।” কিন্তু ষড়যন্ত্র কারা করেছে, তা জিজ্ঞেস করলে উত্তরে দেন, ‘সবার নাম করব’।
সিবিআই-এর চার্জশিটে আনারুল হোসেনের নামেই বিস্ফোরক তথ্য উল্লেখ রয়েছে। সিবিআই চার্জশিটে উল্লেখ করেছে, রামপুরহাট মুনসুবা মোড়ে একটি পেট্রোল পাম্প থেকে ৫ লিটার পেট্রোল কিনেছিল ভাদু শেখের অনুগামীরা। তারপর তারা গ্রামে ঢুকে একাধিক বাড়িতে আগুন লাগিয়েছিল। সোনা শেখ-সহ বাকিদের বাড়িতে আগুন ধরায় তারা। ভাদু খুনের পরেই হাসপাতালে বদলা নেওয়ার উস্কানি দেয় আনারুল।
আনারুল হোসেনকেই মাস্টারমাইন্ড বলে উল্লেখ করেছে সিবিআই। সিবিআই-এর বক্তব্য, আনারুলের উস্কানিতেই গ্রামে গণহত্যার মতো ঘটনা ঘটেছিল। সিবিআই-এর বক্তব্য, ভাদু শেখ খুনের পর আনারুলই রামপুরহাট হাসপাতালে গিয়ে গ্রামবাসীদের উস্কে দিয়েছিল। সেই উস্কানির পরেই বোমা-লাঠি, পেট্রোল নিয়ে গ্রামের দিকে যায় উন্মত্ত জনতা। চলে ভাঙচুর, আগুন লাগানো।
২১ মার্চ ছিল বগটুইয়ের সেই অভিশপ্ত রাত। ‘গণহত্যার’ ঘটনা রীতিমতো গোটা রাজ্যকে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল। সেই ঘটনার ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসাবে আনারুলকেই উল্লেখ করেছে সিবিআই। আনারুলের বিরুদ্ধে নতুন একটি ধারায় মামলা রুজু করেছে সিবিআই। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১০৯ ধারা যুক্ত করার আবেদন করা হয়েছে। অপরাধ সংগঠিত করার পিছনে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আনারুলের বিরুদ্ধে।