বীরভূম: বগটুই তদন্তে সিবিআই এবার প্রত্যক্ষদর্শীদের গোপন জবানবন্দি নিতে চাইছে। রামপুরহাট আদালতে আজ, সোমবারই বয়ান রেকর্ডের আবেদন জানাতে পারেন সিবিআই তদন্তকারীরা। যে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা হয়েছে, তাঁদের এবার বয়ান রেকর্ড করতে তৎপর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। মূলত যাঁরা সোনার শেখের বাড়ির আশেপাশে থাকেন, বাকি যে ছ’টি বাড়ি পুড়েছে, সেই এলাকার বাসিন্দাদের গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করতে চাইছে সিবিআই। গোপন জবানবন্দি পর্যায়টি তদন্ত প্রক্রিয়ার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পার্ট। ওই রাতে ঠিক কী ঘটেছিল, কারা অগ্নি সংযোগ করেছিল, গোটা বিষয়টিতে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছে সিবিআই। বয়ান রেকর্ড হলে, অভিযুক্তদের সম্পর্কে অনেক তথ্য আদালতের কাছে জমা হবে।
৭ এপ্রিল হাইকোর্টে এই মামলার প্রথম স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেবে সিবিআই। গোয়েন্দারা চাইছেন, সেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার আগে যতটা সম্ভব গোপন জবানবন্দি প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যেতে। প্রথম ধাপে গ্রামের বাসিন্দাদের গোপন জবানবন্দি নেওয়া হবে। পরবর্তী পর্যায়ে, যাঁরা জখম, যাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, সেই তিন জনেরও গোপন জবানবন্দি নেওয়া হবে।
বগটুই হত্যাকাণ্ডে শেখলাল এবং মিহিলাল শেখের বয়ান ইতিমধ্যেই রেকর্ড করেছেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি বগটুই কাণ্ড দুই গ্রামবাসীরও বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। খোঁজ মিলেছে দুই টোটোর। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ওই দুটি টোটোতেই বিস্ফোরক,দাহ্য পদার্থ নিয়ে আসা হয়েছিল।
রবিবারই কুমাড্ডা গ্রামে গিয়ে ওই টোটোর ফরেনসিক নমুনা সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি খোঁজ মিলেছে একটি বাইকেরও। টোটোতেই কি দাহ্য পদার্থ নিয়ে আসা হয়েছিল? তা দিয়েই কি আগুন লাগানো হয়েছিল? সেই উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া নমুনা ও টোটো থেকে উদ্ধার হওয়া নমুনা মিলিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা।
এদিকে, বগটুইয়ে নিহত ৭ জনের দেহের ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। দিল্লিতে সেই রিপোর্ট ইতিমধ্যেই পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ফরেনসিক টিম। ৭ জনের দেহাংশ সরিয়ে রেখেছিল রামপুরহাট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেই দেহাংশেরই ডিএনএ টেস্ট করা হয়।