বীরভূম: বক্রেশ্বরে দেখভালের অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সরকারি কটেজ বা আবাসন। প্রচুর টাকা খরচ করে এই কটেজ তৈরি হলেও উদ্বোধন হয়নি এখনও।
৫১ পীঠের মধ্যে অন্যতম সতীপীঠ বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের বক্রেশ্বর। সারা বছরই এখানে ভক্তের আনাগোনা থাকে। এখানে শিবের মাথায় জল ঢালা কিংবা শিবরাত্রিতে প্রচুর ভক্ত সমাগম হয়। গরম জল অর্থাৎ উষ্ণ প্রস্রবণ-সহ আরও অনেক ঘুরে দেখার জায়গা। কেউ কেউ আবার বোলপুর, তারাপীঠ হয়ে বক্রেশ্বর দর্শন করে যান।
পর্যটনশিল্পকে মাথায় রেখেই বর্তমান রাজ্য সরকার এখানে বক্রেশ্বর উন্নয়ন পর্ষদ গঠন করেন। আর তারপর থেকেই আমূল পরিবর্তন হয় এই এলাকায়। টাকা খরচ করে শুধু পরিবর্তনই হয়েছে কাজের কাজ হয়নি কিছু এমনই অভিযোগ অনেকের। বক্রেশ্বরে রয়েছে সরকারি আবাসন বা কটেজ, যা প্রচুর অর্থ ব্যয় করে পর্যটকদের থাকার জন্য করা হয়েছে।
বক্রেশ্বর নদীর ধারে এই কটেজ বা সরকারি আবাসন তৈরি করা হয়েছে। দীর্ঘ কয়েক বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো হয়নি কটেজের উদ্বোধন। ঝোপ-জঙ্গলে ভর্তি কটেজ বা সরকারি আবাসন এলাকা। এমনকি কটেজের মাথায় থাকা জলের ট্যাঙ্ক গুলিও উল্টে পড়ে গিয়েছে। দেখভালের যে অভাব রয়েছে, তা দৃশ্যত প্রমাণিত।
এত টাকা খরচ করে কটেজ তৈরি হলেও, কেন তা এখনও পর্যটকদের জন্য খোলা হয়নি, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। প্রত্যেকের একটাই আবেদন, রাজ্য সরকার এত টাকা খরচ করে যখন কটেজ তৈরি করেছে, তা সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হোক। তাতে মূলত দুটি লাভ। একে পর্যটকদের সংখ্যা আরও বাড়বে, আর এলাকায় বন্ধ হবে অসামাজিক কাজকর্মও।
বক্রেশ্বর উন্নয়ন পর্ষদের সদস্য তথা জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “এটাকেই বলে লাল ফিতের ফাঁস। কেন বন্ধ হয়ে আছে, তা খোঁজ নিয়ে দেখব এবং অবিলম্বে যাতে এটা খুলে দেওয়া যায় তার ব্যবস্থা করব।”
বক্রেশ্বর সেবাইত কমিটির সদস্য তীর্থঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, “ছ-সাত বছর আগে বানানো হয়েছিল। ১ কোটি ৪২ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছিল। জল বিদ্যুতের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু দেখার অভাবে জলের ট্যাঙ্কগুলোও উল্টে গিয়েছে। সরকারকে এবার এসবের দিকে নজর দিতে হবে।”