বীরভূম: বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বর্তমানে জেলে। গরুপাচার মামলায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। তাঁর অনুপস্থিতিতেই জেলা সফরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মমতার সভামঞ্চে থাকবে না অনুব্রত মণ্ডলের কোনও ছবি। এমনকী নেওয়া যাবে না নামও। সূত্রের খবর, বীরভূম জেলা কমিটির বৈঠকে নেওয়া হয়েছে এমনই সিদ্ধান্ত। তবে তৃণমূলের তরফে বিষয়টিকে ভুয়ো বলে দাবি করা হয়েছে। যদিও এ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি।
আগামী ৩০ তারিখ বীরভূমে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর একটি জনসভা ও প্রশাসনিক বৈঠক রয়েছে। সেই সফরকে কেন্দ্র করে গতকাল (শনিবার) বীরভূম জেলা তৃণমূলের বোলপুর কার্যালয়ে হয়েছে জেলা কমিটির বৈঠক। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে যে সকল ব্যানার ফেস্টুন ছাপানো হবে, সেখানে কোনওভাবেই থাকবে না অনুব্রত মণ্ডলের ছবি। এমনকী, নেওয়া যাবে না বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতির নাম।
আর এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করেই শুরু হয়েছে জল্পনা। বিরোধীদের কটাক্ষ, অনুব্রত মণ্ডলকে ধীরে ধীরে দল থেকে সরানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল। আবার অনেকে মনে করছেন, অনুব্রত মণ্ডলের উপর থেকে ‘প্রভাবশালী তত্ত্ব’ সরানোর জন্যেই এই কৌশল তৃণমূল কংগ্রেসের।
যদিও, এই তথ্য ভুল বলে জানিয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী। তিনি বলেন, “এখানে তিরিশ তারিখ ঢুকতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। ৩১ ও ১ তারিখ ওনার কর্মসূচি থাকতে পারে। আমরা তার ব্যবস্থা করছি। গোটা জেলায় উৎসবের মেজাজ তৈরি হয়েছে। যেহেতু করোনার কারণে উনি আসতে পারেননি সেই কারণে ওনার আসায় মানুষের ঢল নামবে। সেই কারণে জোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস রেকর্ড সংখ্যক মানুষ আসবেন। অনুব্রত মণ্ডলের নাম ছবি লাগানো যাবে না এই বিষয়ে অপপ্রচার হচ্ছে।” অন্যদিকে, বিজেপির দাবি এমন অনেককেই ধীরে ধীরে দূরে সরাতে হবে তৃণমূলের। অনুব্রতর কারণে দল যে নষ্ট হচ্ছে তা বুঝতে পারছে তৃণমূল।