বীরভূম: মেয়ে পড়া পারেনি। সেই কারণে ইতিহাস শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ উঠল ওই স্কুলেরই প্যারা শিক্ষককের স্বামীর বিরুদ্ধে। বীরভূমের পাড়ুই থানার অন্তর্গত বাঁধনবগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের ঘটনা।
জানা গিয়েছে, ওই স্কুলের প্যারা শিক্ষক শিখা দাস। তাঁর মেয়ে অপরাজিতা দাস নবম শ্রেণিতে পড়ে। অভিযোগ, সোমবার ইতিহাসের পড়া না পারায় বেশ কয়েকজন পড়ুয়াকে কান ধরে দাঁড় করিয়ে দিয়েছিলেন ইতিহাসের শিক্ষক উত্তম সাহা। তাঁর মধ্যে শিখাদেবীর মেয়েও ছিল।
এরপর মঙ্গলবার সকালে উত্তমবাবু স্কুল আসছিলেন তখন তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। অভিযোগ ওঠে শিখা দেবীর স্বামীই তাঁকে মারধর করেছেন। এই ঘটনা জানাজানি হতেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় ওই স্কুলটিতে। অভিযোগ, তাঁকে একটি ঘরে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসী থেকে পড়ুয়ারা।
এই বিষয়ে স্কুলে প্রধান শিক্ষক বলেন, “আজ স্কুলে এসে শুনি আমাদের একজন ছাত্রীর বাবা আমাদের স্কুলের ইতিহাস শিক্ষককে মেরেছেন। প্রচণ্ড মেরেছেন। থানাতেও বলেছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”