রামপুরহাট: প্রশাসনিক বৈঠক থেকে সরকারি জমি দখল নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরই পুরকর্মীরা নেমেছিলেন জবরদখল উচ্ছেদে। সরানো হচ্ছিল একের পর এক দোকান। লাগাতার আন্দোলনের পরও আটকানো গেল না সরকারি জমিতে উচ্ছেদ অভিযান। ১০ জুলাইয়ের মধ্যে কাঠামো সরিয়ে নেওয়ার সময় সীমা দেওয়া হল প্রশাসনের তরফে। কান্নায় ভেঙে পড়লেন রামপুরহাটের ফুটপাত ব্যবসায়ীরা। ফলে নিজেরা সরকারি জমি জবরদখল মুক্ত না করলে বুলডোজার চালিয়ে উচ্ছেদ করা হবে জবর দখলদারী। আজ মহকুমা শাসকের দফতরে বৈঠকের পর এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। ঘটনাটি বীরভূমের রামপুরহাটে।
বীরভূমের রামপুরহাটে ২৯ জুন থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয় রামপুরহাট পৌরসভা ও মহকুমা প্রশাসন। উচ্ছেদের খবর পেয়ে সেদিন ভোররাত থেকেই হাতে জাতীয় পতাকা নিয়ে রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করেন রামপুরহাটের ফুটপাত ব্যবসায়ী ও তাঁদের পরিবারের লোকজনেরা। আন্দোলনের ফলে সেই সময় পিছু হটতে হয় প্রশাসনকে। সেই সমস্যার সমাধান করতে আজ দুপুরে রামপুরহাট মহকুমা শাসকের দফতরের বৈঠক করা হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ডেপুটি স্পিকার তথা রামপুরহাটের বিধায়ক আশীস বন্দ্যোপাধ্যায়, রামপুরহাট মহকুমা শাসক সৌরভ পান্ডে, রামপুরহাট থানার আইসি সুকমল ঘোষ, রামপুরহাট পুরপ্রধান সৌমেন ভকত এবং ফুটপাত উচ্ছেদ বিরোধী যৌথ মঞ্চের ছ’জনের কোর কমিটির সদস্য।
দফায় দফায় বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সরকারি জমিতে থাকা দখলদারদের নিজেদের কাঠামো সরিয়ে নেওয়ার জন্য ১০ জুলাইয়ের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এই সময় সীমার মধ্যে সরকারি জমি দখলমুক্ত করতে হবে। তবে কোন কাঠামো বা ছাউনি তৈরী না করে ব্যবসা করতে পারবেন এলাকার ফুটপাত ব্যবসায়ীরা।