সাঁইথিয়া: বাংলায় ২০ আসনের প্রার্থী তালিকায় শনিবারই সামনে এনেছে বিজেপি। তাতেই যেমন প্রত্যাশিতভাবে সুকান্ত মজুমদারের, লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মতো বড় মুখেরা রয়েছে। তেমনই জায়গা পেয়েছে বেশ কিছু নতুন মুখ। তেমনই বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির প্রার্থী হলেন প্রিয়া সাহা। তাঁর বাড়ি সাঁইথিয়া শহরের দুই নম্বর ওয়ার্ডে। তবে তিনি যে এই প্রথম ভোটের লড়াইয়ে নামছেন এমনটা নয়। এর আগে তিনি ২০১৬, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সাঁইথিয়া বিধানসভার প্রার্থী হয়েছিলেন। যদিও সেই সময় জয় আসেনি। যদিও জয়ের আশা এবার পূরণ হবে বলেই মনে করছেন প্রিয়া দেবী। তাঁকে প্রার্থী হিসাবে পেয়ে খুশি এলাকার পদ্ম সমর্থকেরাও।
২০১৬ সালে সাঁইথিয়া বিধানসভায় বিজেপির প্রার্থী হলেও হারতে হয়েছিল। তৃণমূলের নীলাবতী সাহার কাছে ৩৯ হাজার ৪৯২ ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন। একই ছবি ফিরেছিল ২০২১ সালেও। ২০২১ সালে ফের বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন প্রিয়া। নিলাবতী সাহার কাছে ১৫২৭২ ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন। যদিও তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু কিন্তু বিজেপির হাত ধরে নয়। নাম লিখিয়েছিলেন হাত শিবিরে। কিন্তু, কালক্রমে তিনি চলে আসেন বিজেপিতে। ২০১৫ সালে সাঁইথিয়া পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলরও হয়েছিলেন।
বীরভূমে বিজেপির নানা লড়াই-আন্দোলনে একেবারে প্রথমসারিতে প্রায়শই দেখা যায় তাঁকে। তাঁর জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী এলাকার বিজেপি কর্মীরাও। জোরকদমে শুরু হয়ে গিয়েছে দেওয়াল লেখার কাজ। তৈরি হচ্ছে ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন। প্রসঙ্গত, এই বোলপুরেই একসময় দাপুটের সঙ্গে রাজনীতি করেছেন বীরভূমের বেতাজ বাদশা অনুব্রত মণ্ডল। সেই অনুব্রত এখন তিহারে থাকলেও মাটি ছাড়তে নারাজ কাজল শেখেরা। লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি জোরকদমে শুরু করে দিয়েছে ঘাসফুল শিবিরও। এমতাবস্থায় বিজেপি কেমন ফল করে এখন সেটাই দেখার। প্রিয়া সাহা বলছেন, “আমাকে প্রার্থী করার জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, রাজ্য নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা জয়ের ব্যাপারে একশো শতাংশ আশাবাদী। ওটা আমরা মোদীজির হাতে তুলে দেব। আর ওখানে অনুব্রতর ক্ষমতা থাকলেও এখন তাঁর অবস্থা সবাই জানেন। তিহারে বসে কাঁদছেন।”