Bolpur Child Death: রাজনীতি চায় না পরিবার, শান্তিনিকেতনের নিহত শিশুর বাড়িতে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Sep 22, 2022 | 1:17 PM

Bolpur Child Death: গতকাল লকেট চট্টোপাধ্যায়ের পরে আজ সুকান্ত মজুমদারেরও যাওয়ার কথা নিহত শিশুর বাড়ি।

Bolpur Child Death: রাজনীতি চায় না পরিবার, শান্তিনিকেতনের নিহত শিশুর বাড়িতে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন
শিশুটির পরিবারের পাশে শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন

Follow Us

বীরভূম: বোলপুরে শিশুমৃত্যু নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। গতকাল লকেট চট্টোপাধ্যায়ের পরে আজ সুকান্ত মজুমদারেরও যাওয়ার কথা নিহত শিশুর বাড়ি। তার আগে নিহত শিশু শিবম ঠাকুরের বাড়ি গেলেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায়। নিহত শিশুর পরিবারের সঙ্গে বললেন কথা। নিহত শিশুর মায়ের সঙ্গে কথা বলার পর সুদেষ্ণা বলেন, “এখানে কোথাও কোনও গাফিলতির অভিযোগ নেই। যে অভিযুক্ত, তাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। আশা করা যায়, এটার নিষ্পত্তি দ্রুত হবে। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির প্রয়োজন। এটা সত্যিই নক্কারজনক ঘটনা।”

শিশুটির মায়ের কথায়, পুলিশ সাহায্য করছে। তবে পচা গন্ধ পেয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করেন প্রতিবেশীরা। সেটাই তিনি জানান। পুলিশের বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ নেই শিশুটির বাবারও। তবে তাঁর সাফ কথা, এই নিয়ে কোনও রাজনীতি চান না তাঁরা। কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধির সঙ্গে দেখা করতে চান না তাঁরা।

প্রসঙ্গত, বুধবারই ঘটনাস্থলে যান বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তা নিয়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। গ্রামে ঢুকতেই বিক্ষোভের মুখে পড়েন লকেট। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তিনি বলেন,“আমরা এসপি বীরভূমের সঙ্গে কথা বলেছি। এত বড় পোস্টে থেকে বলছেন, আমরা যথেষ্ট করেছি। আমরা ঈশ্বর নই। ভোট ব্যাঙ্কের একটা রাজনীতি আছে। এখানে যদি বেশি কিছু করতে চায়, তাহলে মমতার যে ভোট ব্যাঙ্ক আছে, তা হাতের বাইরে চলে যাবে।” লকেটে আরও বিস্ফোরক দাবি, “যিনি গ্রেফতার হয়েছেন, তাঁর দাদা আনারুল অনুব্রত মণ্ডলের গাড়ি চালান না-কী করেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনা ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।”

সিবিআই তদন্তের দাবি জানান তিনি। রবিবার বিস্কুট কিনতে গিয়েছিল পাঁচ বছরের শিবম ঠাকুর। তারপর থেকে আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরিবারের তরফ থেকে সম্ভাব্য সমস্ত জায়গায় খোঁজ করার পর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। পুলিশ কুকুর নিয়ে এলাকায় চলে তল্লাশি। ৫২ ঘণ্টা পর প্রতিবেশীর বাড়ির ছাদ থেকে উদ্ধার হয় শিবমের নিথর দেহ। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসীরা।

পুরনো শত্রুতার একটি তত্ত্ব উঠে আসে। পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করে। তাদের জেরা করে জানা যায়, শিবমের পরিবারের সদস্যের একটি সেলুন রয়েছে। তাতে কাজ করত মূল অভিযুক্ত। সেই যুবকের সঙ্গে এলাকারই অন্য একটি মেয়ের সম্পর্ক ছিল। সেটা নিয়ে পারিবারিক বিবাদ তৈরি হয়। তাতে জড়িয়ে পড়ে শিশুটির পরিবারও। সেই আক্রোশ থেকেই শিশুকে অপহরণ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ।

Next Article