বোলপুর : সেহেগল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে আগেই। এবার তাঁর ফাঁকা ফ্ল্যাটে হাজির হলেন সিবিআই আধিকারিকরা। বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি সেহেগল হোসেনের বিষয়ে আরও কিছু তথ্য জানতেই বুধবার সকালে সেই ফ্ল্যাটে পৌঁছে যান আধিকারিকরা। ঘণ্টা খানেকের বেশি সময় ভিতরে থাকার পর তাঁরা বেরিয়ে যান। কী কারণে তল্লাশি তা স্পষ্ট করে না জানানো হলেও, সিবিআই সূত্রে খবর, আর্থিক লেনদেনের সূত্র খুঁজে পেতেই এ দিন হানা দেন আধিকারিকরা।
জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল ১২ টা নাগাদ পাঁচ জন সিবিআই আধিকারিক বোলপুরে যান। বোলপুরের কাশিপুর এলাকায় সেহেগলের যে ফ্ল্যাট আছে সেখানে যান তাঁরা। সূত্রের খবর, সেহেগেল হোসেনের ওই বাড়িতে এ দিন ছিলেন না কেউ। সেহেগল ছাড়া পরিবারের কোনও সদস্য ওই ফ্ল্যাটে নিয়মিচ থাকতেন না বলেই জানা যায়। কাজের সূত্রে যেহেতু বীরভূমে তথা বোলপুরে থাকতে হত সেহেগলকে, তাই ওই ফ্ল্যাটে থাকতেন তিনি। এ ছাড়া সেহেগলের মা বা স্ত্রী মাঝেমধ্য আসতেন সেখানে। বোলপুরে অবশ্য সেহেগলের একাধিক বাড়ি আছে বলে জানা যায়, যদিও এ ব্যাপারে প্রকাশ্যে কেউ কিছু জানাতে পারেন না।
দেহরক্ষী হওয়ার সৌজন্য অনুব্রত-র প্রায় সব কাজকর্মই দেখাশোনা করতেন সেহেগল। তাঁকেই অনুব্রত-র ছায়াসঙ্গী বলেও উল্লেখ করা হয়। তাই গরু পাচার মামলায় অনুব্রত-র পাশাপাশি সেহেগলের ভূমিকাও খতিয়ে দেখছে সিবিআই। কয়েকদিন আগেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁৎ হিসাব-বহির্ভূত সম্পত্তি নিয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা।
সূত্রের খবর, গরু পাচারকাণ্ডের যিনি মূল অভিযুক্ত, সেই এনামুল হক সিবিআইয়ের কাছে যে বয়ানে জানান, গরু পাচারে বীরভূমকে করিডর হিসাবে ব্যবহার করা হত, তার জন্য তাঁকে মোটা টাকা দিতে হত। আর সেই টাকা এই সেহেগল হোসেনই নিতেন বলে সিবিআই সূত্রে খবর। এর সপক্ষে বেশ কিছু তথ্য প্রমাণও সিবিআইয়ের হাতে আসে। পরে সেহেগলের মুর্শিদাবাদের বাড়িতেও সিবিআই গোয়েন্দারা অভিযান চালান। সেখান থেকে প্রচুর দলিল বাজেয়াপ্ত হয়। পরে গ্রেফতার করা হয়েছে সেহেগলকে।