বোলপুর : বুধবার বীরভূমে একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ বাড়িতেও চলেছে তল্লাশি। প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়। একদিকে যখন বোলপুরের ‘অপা’য় তল্লাশি চালায় ইডি, অন্যদিকে সারাদিন ধরে সিবিআই-এর তৎপরতা চোখে পড়ে জেলা জুড়ে। কিন্তু বৃহস্পতিবার একেবারে অন্য মেজাজে দেখা গেল সেই সব অফিসারদের। কার্যত বোলপুরে ‘ছুটি’ কাটাতে দেখা গেল তাঁদের। শান্তিনিকেতনের অদূরে ঐতিহ্যবাহী সোনাঝুরির হাটে ঘুরলেন তাঁরা। জিনিসপত্র পছন্দ করে কেনাকাটও সারলেন তাঁরা।
বুধবার বীরভূম জেলার অন্তত ১৮ টি জায়গায় সিবিআই তল্লাশি চালিয়েছে বলে সূত্রের খবর। একাধিক টিম থাকলেও বোঝাই যাচ্ছে, অফিসারদের রীতিমতো দৌড় ঝাঁপ করতে হয় জেলার এ প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তে। রাডারে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের বাড়িতে ঢুকে আনাচে-কানাচে তল্লাশি চালাতে হয়। বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা দেখেন, সিবিআই অফিসারদের একটি গাড়ি সোজা চলে যায় সোনাঝুরির হাটের দিকে।
মূলত শনি ও রবিবার হাট বসলেও অন্য়ান্য দিনও পসরা সাজিয়ে বসেন কিছু বিক্রেতা। শান্তিনিকেতনের ছোঁয়া রয়েছে, এমন জিনিসপত্রই মূলত বিক্রি হয় সেখানে। আর পাঁচজন পর্যটকের মতো সেখানে ঘুরে দেখলেন তাঁরা। কিনলেন পাঞ্জাবী, দোতারা। সোনাঝুরিতে বেশ কিছুক্ষণ ছিলেন তাঁরা। একদিকে তখন আদিবাসী নাচের তালে পা মেলাচ্ছেন পর্যটকেরা। মাদলের তালের সঙ্গে শোনা যাচ্ছে ‘ইনি বিনি টাপা টিনি’ সেখানেই গাছের ছায়ায় অপেক্ষা করতে দেখা যায় তাঁদের।
গোয়েন্দা অফিসারদের এমন মেজাজ অবাক করে অনেককেই। সিবিআই বললেই একটা ছবি ভেসে ওঠে, অফিসাদের কঠিন মুখ, তীক্ষ্ণ দৃষ্টি, কোনও ভাবেই যেন তদন্তে গাফিলতি না হয়। কিন্তু পেশার বাইরে দিনের শেষে যে তাঁরাও আর পাঁচজনের মতোই, সেটাই বোঝা গেল এ দিন।
উল্লেখ্য, বুধবার বীরভূম জুড়ে চলে তল্লাশি। অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ব্যবসায়ী টুলু মণ্ডল ও কেরিম খানের বাড়িতেও চলে তল্লাশি। বীরভূমের মহম্মদ বাজার, সোতশাল, সিউড়ি, নানুর, বোলপুর এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়।