বীরভূম : নবান্নের নির্দেশে লালন শেখের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তভার গ্রহণ করল রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি। মঙ্গলবার সকাল থেকেই সিআইডি আধিকারিকেরা উপস্থিত ছিলেন বীরভূমের রামপুরহাটে। পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরই তদন্তভার গ্রহণ করল সিআইডি। সূত্রের খবর, এদিন রাতেই কাগজপত্র হাতে পাবেন তাঁরা, শুরু হবে তদন্ত। সিআইডি-র হোমিসাইড শাখার ৪ আধিকারিক বীরভূমে যাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। তদন্তের দায়িত্বে থাকবেন ডিএসপি পদমর্যাদার এক আধিকারিক।
সোমবার বিকেলে রামপুরহাটে সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্পে মৃত্যু হয় বগটুই-কাণ্ডের অভিযুক্ত লালন শেখের। মঙ্গলবার সকালে রামপুরহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন লালনের স্ত্রী। সিবিআই-এর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তিনি। উল্লেখ করেছিলেন সিবিআই-এর তিন অফিসারের নাম। এরপরই তদন্ত শুরু করতে চলেছে সিআইডি।
এদিন সকাল থেকেই সিআইডি তদন্তের দাবি জানিয়েছিল লালনের পরিবার। সিআইডি আধিকারিকরা সকালেই রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে যান। লালনের দেহের ময়নাতদন্তের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকদের সঙ্গে কথাও বলেন তাঁরা।
মঙ্গলবার রামপুরহাট মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট রামপুরহাটের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (1) সুপর্ণা সিংহকে এই ঘটনায় তদন্ত তদারকি করার দায়িত্ব দেন। এই বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের তদারকিতে সিআইডি তদন্ত করবে এবং সেই রিপোর্ট জমা দেবে।
অন্যদিকে, আদালতের নির্দেশে বগটুই গণহত্যার মূল অভিযুক্ত লালন শেখের সিল করা বাড়ি খুলে দিল সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ঘটনার তদন্তভার গ্রহণ করার পর ৩১ মার্চ লালন শেখের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায়। প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে লালনের বালিতে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। সেই সময় লালনের বাড়িতে কেউ ছিলেন না, বাড়ি তালা বন্ধ ছিল। রামপুরহাট থানার আধিকারিকদের উপস্থিতিতে সিবিআই তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করেছিল।তল্লাশি শেষে ওই বাড়ি সিল করে দিয়ে যায় সিবিআই। তখন থেকে ওই বাড়িটি তালা বন্ধ ছিল।
লালনের পরিবারের দাবি ছিল, ওই বাড়িটির সিল খুলে দেওয়া হোক যাতে লালনের পরিবার সেখানে বসবাস করতে পারে। মঙ্গলবার আদালতে এই মর্মে আবেদন জানান লালনের আইনজীবী। আদালত পুলিশের উপস্থিতিতে সিবিআইকে ওই বাড়ির সিল খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রামপুরহাট থানার আইসি দেবাশিস চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে সিবিআই আধিকারিকরা লালন শেখের বাড়ির সিল খুলে দেন। আদালতের নির্দেশক্রমে এখন থেকে ওই বাড়িতে লালনের পরিবার বসবাস করতে পারবেন।