বীরভূম: বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হল। শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের তরফে শান্তিনিকেতন থানায় দায়ের হল উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অভিযোগ। উপাচার্য আশ্রম এলাকার বিভিন্ন গেট তালা বন্ধ করে রাখছেন বলে অভিযোগ। একইসঙ্গে ট্রাস্টের অভিযোগ, শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সম্পত্তি দখল করতে চাইছেন উপাচার্য। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ব্রাত্য করে ফলক বসেছে বিশ্বভারতীতে। তা নিয়ে বিতর্ক যখন চরমে, এরইমধ্যে উপাচার্যের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হল। বিশ্বভারতীর মতো প্রতিষ্ঠানের উপাচার্যের নাম থানার খাতায় লেখা হচ্ছে, তা অত্যন্ত লজ্জার, বলছেন প্রাক্তনী থেকে পড়ুয়া সকলেই।
শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের তরফে সম্পাদক অনিল কোনার অভিযোগ করেন, গত ১৭ সেপ্টেম্বর ইউনেস্কো শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ হিসাবে ঘোষণা করেছে। উপাসনা গৃহ, শান্তিনিকেতন গৃহ তথা মূল শান্তিনিকেতন আশ্রম রয়েছে সেখানে। এই স্বীকৃতি শান্তিনিকেতনবাসীকে গর্বিত করে। গোটা রাজ্য, গোটা দেশের গর্বের।
অভিযোগপত্রে লেখা হয়েছে, ‘বিদ্যুৎ চক্রবর্তী এই হেরিটেজ স্থানে নিজের নামের ফলক লাগিয়ে বেআইনি জবরদখলকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার চেষ্টা করছেন। বেআইনিভাবে ট্রাস্টের সম্পত্তির চরিত্র বদল ও সত্ত্ব পরিবর্তনের অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র করছেন। ছলে বলে কৌশলে ট্রাস্টের সম্পত্তি আত্মসাৎ করতে চাইছেন।’ প্রসঙ্গত শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। ট্রাস্টের দাবি, যে শ্বেতপাথরের ফলক বসানো হয়েছে, সেটি শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের জায়গায়। অনুমতি না নিয়েই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তা করেছে। সবথেকে বড় কথা, এখানে ব্রাত্য করা হয়েছে রবীন্দ্রনাথকে। যিনি শান্তিনিকেতনের প্রাণপুরুষ, বিশ্বভারতীর গুরুদেব।
শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কোনার বলেন, “শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের জমিতে ফলক বসানো হয়েছে, অথচ কোনও অনুমতি নেয়নি। তাই আমরা বিশ্বভারতীর প্রশাসনিক প্রধান উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে শান্তিনিকেতন থানায় লিখিত অভিযোগ করলাম।” যদিও এ নিয়ে উপাচার্যের বা বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কোনও বক্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি।