রামপুরহাট: কে ভেবেছিল এমনটা হতে পারে? সকাল-সকাল প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে এমন ভয়ঙ্কর ঘটনার সাক্ষী হতে হবে ভাবেননি কেউই। সন্দেহ খানিকটা আগেই হয়েছিল। কিন্তু বুঝে উঠতে পারছিলেন কী করবেন। শেষমেশ পুলিশকে খবর দিতেই উদ্ধার আসল রহস্য।
পরিত্যক্ত জাতীয় সড়কের ধার থেকে উদ্ধার হল এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির রক্তাক্ত দেহ। রবিবার সকালে রামপুরহাটের সানঘতাপাড়া এলাকা থেকে উদ্ধার হয় দেহটি। রানিগঞ্জ-মোড়গ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে মৃতদেহটি দেখতে পান পথচলতি মানুষজন। সকাল-সকাল এমন ঘটনায় স্তম্ভিত হয়ে যান এলাকাবাসী। পরে তাঁরা ফোন করে খবর দেন পুলিশে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত যুবকের আনুমানিক বয়স তিরিশ বছর। তাঁর পরনে ছিল হলুদ রঙের ফুলহাতা জামা ও নীল রঙের জিনসের প্যান্ট। কোমরে কালো বেল্ট। যদিও সেটি বকলেস থেকে ছেঁড়া। নাক ও মুখে কালো রক্তের দাগ। মৃতদেহটি উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ ।
এদিকে, পশ্চিম মেদিনীপুরেও এমন ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা ২ নম্বর ব্লকের ভগবন্তপুরের চৈতন্যপুর গ্রামের যুবক সৌম্যদীপ। শনিবার রাত আটটা নাগাদ সৌম্যদীপ তাঁর দুই বন্ধুর সঙ্গে বাড়ির সামনেই শিলাবতী নদীতে মাছ ধরতে যান। রাতে দুই বন্ধু ফিরে আসেন। বন্ধুদের বয়ান অনুযায়ী, সৌম্যদীপকে বাড়ি ফেরার কথা বললেও, তিনি আরও কিছুক্ষণ মাছ ধরার নেশায় একাই থেকে যান। দুই বন্ধু বাড়ি ফিরলেও, সৌম্যদীপ বাড়ি না ফেরায় রাতে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়।
সৌম্যদীপের পরিবারের তরফে প্রথমে দুই বন্ধুর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে তাঁরা জানতে পারেন, সৌম্যদীপ নদীতেই রয়েছেন। খবর পেয়ে সেখানেও খোঁজ করেন তাঁরা। কিন্তু শনিবার রাতে সৌম্যদীপকে খুঁজে পাননি বাড়ির লোক।
রবিবার সকালে চৈতন্যপুর-সহ আশপাশের এলাকার মানুষ শিলাবতী নদীর জলে খোঁজ শুরু করেন। স্থানীয় বাসিন্দারাই নদী থেকে এক যুবকের দেহ উদ্ধার করে পাড়ে নিয়ে আসেন। পরিবারের সদস্যরা তাঁকে শনাক্ত করেন। ঘটনার খবর পেয়ে চন্দ্রকোণা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।