নলহাটি: তৃণমূলের নলহাটির প্রাক্তন ব্লক সভাপতি বিভাস অধিকারীর কলকাতার বাড়িতে ইডি (ED)। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা আধিকারিক সূত্রে খবর, তাঁর সঙ্গে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও মানিক ভট্টাচার্যের যোগাযোগ ছিল বলে জানা গিয়েছে।
গত দু’দিন আগে অর্থাৎ বৃহস্পতিবার তৃণমূলের ব্লক সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দর্শান নিজের পদত্যাগ পত্রে। এই ঘটনার ঠিক দু’দিন পর বিভাসের কলকাতার বাড়িতে হানা দেয় ইডি। তল্লাশি চালানো হয় লাগাতার।
উল্লেখ্য, বর্তমানে কেষ্টহীন বীরভূম। গরুপাচারের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। ফলত এক প্রকার ফাঁকা বীরভূম।আর যখন নেতাই ময়দানে নেই তখন হাল আর পাল ভিন্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনা থাকেই। জল্পনা ছিলই। এবার তা উস্কে দলের পদ ছাড়লেন জেলার এক ব্লক সভাপতি। এই পদত্যাগ যেন ঘৃতাহুতি হাজার হাজার প্রশ্নে।
বুধবার দলের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে পদ ছাড়েন নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের সভাপতি বিভাস অধিকারী। ওইদিন এই মর্মে একটি চিঠি জমা করেন জেলা নেতৃত্বের কাছে। সেই পদত্যাগ পত্রে নিজের শারীরিক কারণকেই সামনে এনেছেন বিভাসবাবু। যদিও তাঁর হঠাৎ এই পদত্যাগ বীরভূমের রাজনীতিতে বিভিন্ন গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়।
যদিও নিজের স্বপক্ষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শারীরিক অসুস্থতাকেই সামনে এনেছেন বিভাসবাবু। তিনি বলেন, ‘আমার যখন শরীর ভাল ছিল তখন দলের জন্য অনেক দৌড়াদৌড়ি করেছি। শেষ লোকসভা ভোটের সময় আমাদের প্রার্থী শতাব্দী রায়কে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছি এবং ভোটের প্রচার করেছি। এখন আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ তাই আর পারব না। হৃদযন্ত্রজনিত সমস্যা রয়েছে আমার। এছাড়াও হাতের পেশিগত সমস্যা রয়েছে। এই অবস্থায় গ্রামে গ্রামে ঘুরে ভোট করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’