বোলপুর: জোর করে অন্যত্র বিয়ে দিয়েছিল পরিবার। কিন্তু, তা কিছুতেই মানতে পারেননি বোলপুরের যোগ্যনগর গ্রামের কুতুবা খাতুন। বিয়ের সাতদিনের মাথায় বাপের বাড়ি ফিরেই ফোন প্রাক্তন প্রেমিককে। আটঘাট বেঁধে করে পেলেছিলেন পালানোর ছক। সব ঠিকই ছিল। কিন্তু, পালানোর মুহূর্তে বাবার চোখে পড়ে যান ওই তরুণী। আর ঠিক তখনই ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা। কুতুবার বাবা শেখ কুদ্দুসকে গাড়ি চাপা দিয়ে মেরে ফেলে তাঁর প্রেমিক শেখ সাফিকুল। ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা জেলায়। থানায় দায়ের হয়েছিল খুনের অভিযোগ। অবশেষে ঘটনার তিনদিনের মাথায় মূল অভিযুক্ত শেখ সাফিকুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এদিন নানুরের বাসা পাড়া থেকে সাফিকুলকে গ্রেফতার করে বোলপুর থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, সাফিকুলকে ধরা গেলেও তাঁর প্রেমিকা-সহ আরও ৫ জন পলাতক। তাঁদের খোঁজ শুরু হয়েছে। অন্যদিকে সাফিকুলকে এদিনই তোলা হয় বোলপুর আদালতে। সেখানে তাঁর ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
প্রসঙ্গত, সাত দিন আগে কুতুবা খাতুনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল বর্ধমানের বাসিন্দা শেখ ইউনিসের। কিন্তু, বিয়েতে মত ছিল না কুতুবের। কিন্তু, তারফলে যে এতবড় ঘটনা ঘটে যাবে তা ভাবতে পারছেন না তাঁর পরিবারের সদস্যরাও। এদিকে ঘটনার পর রক্তাক্ত কুদ্দুসকে নিয়ে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে আসে তাঁর পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু, সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় বর্ধমান মেডিকেল কলেজে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু, নিয়ে যাওয়ার পথে রাস্তাতেই তাঁর মৃত্যু হয়।