Anubrata Mandal: বোলপুরের চিকিৎসক-কাণ্ডে নয়া মোড়, এবার সামনে এল বিধায়কের নাম

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Aug 13, 2022 | 8:18 PM

Anubrata Mandal: হাসপাতাল সুপারের দাবি, বিধায়ক তাঁকে বলেছিলেন অনুব্রতর বাড়িতে চিকিৎসক পাঠাতে। তাই তিনি অনুরোধ করেছিলেন তাঁর সহকর্মীকে।

Anubrata Mandal: বোলপুরের চিকিৎসক-কাণ্ডে নয়া মোড়, এবার সামনে এল বিধায়কের নাম
চিকিৎসক-কাণ্ডে নয়া মোড়

Follow Us

বোলপুর : অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পরই সামনে আসে এক বিস্ফোরক অডিয়ো। যেখানে শোনা যায়, বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার তাঁর সহকর্মী এক চিকিৎসককে নির্দেশ দিচ্ছেন অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে যেতে। সাদা কাগজে প্রেসক্রিপশন লিখে দেওয়ার পরামর্শও দিতে শোনা যায় সুপারকে। সুপারের কথাতেই অনুব্রতর বাড়িতে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী। অভিযোগ, তাঁকেই ‘বেড রেস্ট’ -এর কথা লিখে দিতে বলেছিলেন অনুব্রত। এই ইস্যু নিয়ে যখন সিবিআই-ও তৎপর হয়েছে, তারই মধ্যে সামনে এল আরও এক নতুন নাম। এবার বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন হাসপাতাল সুপার বুদ্ধদেব মুর্মু। তাঁর দাবি, বিধায়কের নির্দেশেই অনুব্রতর বাড়িতে চিকিৎসক পাঠাতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।

চাপ দিয়েছিলেন বিধায়ক?

‘আমাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিকাশ রায় চৌধরী। তিনি আমাকে বলেছিলেন, অনুব্রত মণ্ডল গুরুতর অসুস্থ। চিকিৎসক পাঠাতে বলেছিলেন। উনি মৌখিক নির্দেশ দিয়েছিলেন, তাই আমি আমার সহকর্মীর কাছে আবেদন করেছিলাম, গিয়ে দেখে আসার জন্য।’

চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী যে অভিযোগ তুলেছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে সুপারের দাবি, চিকিৎসককে শুধুমাত্র আবেদন করা হয়েছিল, ইচ্ছা না হলে তিনি নাও যেতে পারতেন। তবে বিধায়ক তাঁকে বারবার বলেছিলেন বলে উল্লেখ করেছেন সুপার।

কার ফোন গিয়েছিল বিধায়কের কাছে?

সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী যে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ, এ কথা এলাকায় অনেকেরই জানা। সুপারের দাবি অনুযায়ী সেই বিকাশ রায় চৌধুরীই তাঁকে ডাক্তার পাঠাতে বলেছিলেন।

এ ব্যাপারে বিধায়ককে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘ওঁর বাড়ি থেকে ফোন এল। বলা হল ওঁর ফিসচুলাটা ফেটে গিয়েছে, খুব যন্ত্রণা হচ্ছে। খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, হাসপাতালে একটু খবর দিতে বলা হল। সেই খবরটা আমি সুপারকে দিয়েছি। তারপর সুপার যেমন মনে করেছেন, তেমন করেছেন।’ সুপারের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি কোনও নির্দেশ দিতে পারি না। নির্দেশের কথা বললে উনি প্রমাণ দিন।’

অর্ক দত্ত নামে একজন ফোন করেছিলেন বলে দাবি করেছেন বিধায়ক। ফোনে তাঁকে বলা হয়েছিল, দাদা খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। হাসপাতালে খবর দিন।

সুপারের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলেছিলেন ড. চন্দ্রনাথ অধিকারী

অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পরই ড. চন্দ্রনাথ অধিকারী দাবি করেছিলেন, সুপারের নির্দেশে অনুব্রতর বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, হাসপাতালের প্যাড নয়, সাদা কাগজেই প্রেসক্রিপশন লেখার কথা বলেছিলেন সুপারই। পরে জানা যায়, ওই সময় সুপার ছুটিতে ছিলেন। ছুটিতে থেকেও কেন এমন নির্দেশ দিলেন তিনি? তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

এই অভিযোগ সামনে আসার পরই সিবিআই নোটিস দিয়েছে সুপার বুদ্ধদেব মুর্মু ও চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারীকে। এরই মধ্যে আরও এক নয়া মোড় সেই ঘটনায়।

আরও পড়ুন : 19,867.8 MHz স্পেকট্রাম অধিগ্রহণ করে ভারতীয়দের জন্য 5G বিপ্লব ঘটাতে চলেছে এয়ারটেল

Next Article